ইংল্যান্ডের ফুটবল অঙ্গনের আলোচিত অধ্যায় শেষ হলো—মার্কাস রাশফোর্ড ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে যোগ দিয়েছেন অ্যাস্টন ভিলায়! তবে আপাতত ধারে, মৌসুম শেষ পর্যন্ত। এই চুক্তিতে স্থায়ী হওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে, আর ভিলা রাশফোর্ডের বিশাল অঙ্কের বেতনের বড় অংশ বহন করবে। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেও থাকছে বিশেষ বোনাস।
রাশফোর্ড নিজেই ইনস্টাগ্রামে এই খবর নিশ্চিত করে লিখেছেন, ‘এই চুক্তি সম্ভব করার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও অ্যাস্টন ভিলাকে ধন্যবাদ জানাই। কয়েকটি ক্লাব আগ্রহ দেখালেও ভিলা আমার কাছে সহজ পছন্দ ছিল। তাদের খেলার ধরন ও ম্যানেজারের উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি মাঠে ফিরতে মুখিয়ে আছি।’
ডিসেম্বর ১২-এ ভিক্টোরিয়া প্লজেনের বিপক্ষে ইউরোপা লিগের ম্যাচ ছিল রাশফোর্ডের শেষ মাঠে নামা। এরপর থেকেই শোনা যাচ্ছিল, নতুন কোচ রুবেন আমোরিম তার অনুশীলনের মনোযোগ নিয়ে খুশি নন। এমনকি জানুয়ারিতে ফুলহামের বিপক্ষে ম্যাচের পর আমোরিম বলেছিলেন, ‘আমি ৬৩ বছর বয়সী গোলকিপার কোচকে খেলাতে রাজি, কিন্তু রাশফোর্ডকে নয়!’
এমন পরিস্থিতিতে তার ইউনাইটেড অধ্যায় শেষের পথে, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ক্লাবও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মার্কাসের জন্য শুভকামনা রইলো মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য।’
জানুয়ারির শেষ দিনে আল নাসরে বিক্রি করা জন দুরানের জায়গা পূরণ করতেই মূলত রাশফোর্ডকে দলে টেনেছে ভিলা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেওয়া উনাই এমেরির দল এবার লিগেও ভালো অবস্থানে রয়েছে, আর রাশফোর্ডের অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে তাদের শক্তি বাড়াবে।
ইএসপিএনের এক সূত্র জানিয়েছে, রাশফোর্ডের প্রথম পছন্দ ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে কাতালানরা তাকে নিতে পারেনি। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও আগ্রহ দেখিয়েছিল, তবে রাশফোর্ডের সাপ্তাহিক ৩.৫ লাখ পাউন্ডের বেতন তাদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
রাশফোর্ড ১৮ বছর বয়সে ইউনাইটেডের মূল দলে অভিষেকের পর থেকে ৪২৬ ম্যাচে করেছেন ১৩৮ গোল। ২০২২-২৩ মৌসুমে ৩০ গোল করে ক্যারিয়ারের সেরা ফর্ম দেখালেও এরপর ধারাবাহিকতা হারিয়েছেন। এ মৌসুমে করেছেন মাত্র ৭ গোল।
তবে ফুটবলের বাইরেও রাশফোর্ড একজন সমাজসেবক। কোভিড মহামারির সময় ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে দরিদ্র শিশুদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করিয়ে তিনি দেশে নায়ক বনে গিয়েছিলেন।