Homeখেলাধুলাপারিশ্রমিক আতঙ্কের সমাধান ‘বিসিবি’! | কালবেলা

পারিশ্রমিক আতঙ্কের সমাধান ‘বিসিবি’! | কালবেলা


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরটা একটু ভিন্নভাবেই শুরু হলো। মাঠের জমজমাট ক্রিকেটে কতটা ভিন্ন- সেটা বলে দেবে সময়। তবে মাঠের বাইরের ভিন্নতা ইতোমধ্যে চোখে পড়ে গেল। সবকিছু জাঁকজমকভাবেই সাজিয়েছে বিসিবি। কিন্তু যাদের নিয়ে এই টুর্নামেন্ট! সে ক্রিকেটাররাই নাকি প্রথমবার কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই মাঠে খেললেন। সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই একই ঘটনা ঘটতে দেখা গেল এবার। অথচ নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক বুঝে পাওয়ার কথা ছিল তাদের। এমন পরিস্থিতিতেও আতঙ্কিত নন ক্রিকেটাররা। সমাধান হিসেবে বিসিবিকেই অভিভাবক দেখছেন তারা। দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের কথায়ও মিলেছে সে ইঙ্গিত।

বিপিএলের নিয়ম বলছে, টুর্নামেন্টের মধ্যেই মোট ৭৫ শতাংশ পারিশ্রমিক বুঝে পাবেন ক্রিকেটাররা। এরপর শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই দেওয়া হবে বাকি ২৫ শতাংশ। কিন্তু এবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো টাকা পাননি ক্রিকেটাররা। সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজয়ও, ‘না! আমরা এখনো পাইনি। কেউই পায়নি।’ তারপরও মাঠে নামতে অস্বীকৃত জানাননি তারা। কেন? তার উত্তরও দিলেন রাজশাহী অধিনায়ক, ‘আমার মনে হয়, মাত্র শুরু হয়েছে বিপিএলটা। আমরা আসলে কোনো প্রশ্ন বা কোনো জটিলতা না তুলি। ক্রিকেটাররাও এটা চায় না। বিপিএলটা বিশ্বের সবাই দেখে। এরকম কোনো খবর না আসুক। বা আমাদের দেখতে না হোক- বিশ্ব ক্রিকেটে পারিশ্রমিক না পাওয়া নিয়ে কোনো খবর আসছে। আমরা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করি। একটা গোছালো পরিবেশ তৈরি হবে।’

রাজশাহীকে শুধু পারিশ্রমিকই নয়, তাদের জার্সিও পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ম্যাচ শুরুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। অধিনায়ক বিজয় নিজেই টস করতে এসেছিল অনুশীলন জার্সিতে। সবকিছুই ইতিবাচকভাবে নিচ্ছেন বলেও জানান এই ক্রিকেটার, ‘আমাদের কিন্তু ড্রেসও এসেছে অনেক দেরিতে। অনেকের গিয়ারস (ক্রিকেটের সরঞ্জাম) এসেছে দেরিতে। তো বিপিএলটা আমরা ইতিবাচকভাবে নিতে চাই।’

কিন্তু দিন শেষে ক্রিকেটারদের বড় সমস্যা এই পারিশ্রমিকই। গেল কয়েক আসরেই পারিশ্রমিক জটিলতা পোহাতে হয়েছিল তাদের। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বিসিবিকেই দিতে হয়েছিল সমাধান। সর্বশেষ আসরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশ কিছু বকেয়া পরিশোধ করতে হয়েছিল ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান বোর্ডকে। তারপরও বিজয়ের বিশ্বাস টাকা না দিয়ে যাবেন না ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা, ‘অবশ্যই মালিকরা না দিয়ে (পারিশ্রমিক) তো যাবে না বা বিসিবি তো এটার ব্যবস্থা করবে।’

কিন্তু বিসিবি কীভাবে ব্যবস্থা করবে- সে প্রশ্নটাও এবার বড়সড়ভাবেই উঠছে। কেননা, সর্বশেষ আসরেও দলগুলোর থেকে ব্যাংক গ্যারান্টি নিয়েছিল বিসিবি। সেখান থেকেই বকেয়াগুলো পরিশোধ করা হয়। কিন্তু এবার ফরচুন বরিশাল ছাড়া কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই দেয়নি ব্যাংক গ্যারান্টি জমা। বারবার কমিয়ে ৩ কোটিতে নামানোর পরও সেটা বুঝে পায়নি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। ফ্র্যাঞ্চাইজি চলে গেলে বিসিবি আছে বললেন বিজয়, ‘(পারিশ্রমিক না দিয়ে) চলে যাবে? সেটা তাহলে বিসিবি আছে।’

শেষ মুহূর্তেও ইতিবাচক ভাবনার কথা বললেন তিনি, ‘আমরা অবশ্যই ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি। হয়তো সময়সাপেক্ষের কারণে বিলম্ব হয়েছে। আশা করি, তারা যথাযথভাবে ব্যবস্থা করেছে।’

অবশ্য দু-একদিনের মধ্যে কিছু পারিশ্রমিক দেওয়ার কথাও শোনা গেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পক্ষ থেকে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত