Homeখেলাধুলাদুবাইয়ের স্পিন-বৃত্তে ভারত না নিউজিল্যান্ড কে হবে জয়ী?

দুবাইয়ের স্পিন-বৃত্তে ভারত না নিউজিল্যান্ড কে হবে জয়ী?


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল মানেই উত্তেজনার সর্বোচ্চ শিখর। এবারও ব্যতিক্রম নয়। দুবাইয়ে আজ মুখোমুখি ভারত ও নিউজিল্যান্ড—দুই দলই নিজেদের স্পিন শক্তিকে ঢাল বানিয়ে নামবে শিরোপা জয়ের মিশনে।

স্পিনের লড়াই: কার ঘূর্ণি শক্তিশালী?

ভারতীয় স্পিন ইউনিট যেন এক ভয়ংকর ধাঁধা। কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তীর হাত থেকে বল ছাড়া মানেই বিপক্ষ ব্যাটারদের বিভ্রান্তির শিকার হওয়া। আর অক্ষর প্যাটেল? তার বল ব্যাটারদের বিপাকে ফেলার জন্য বাঁক নিতেই চায় না—সরাসরি গিয়ে আঘাত করে স্টাম্পে! এই তিন স্পিনারের হাত ধরে চলতি আসরে ভারতের সংগ্রহ ২১ উইকেট, যা এই টুর্নামেন্টের বাকি তিন বিশ্বকাপজয়ী দলের সম্মিলিত উইকেটসংখ্যার চেয়েও বেশি।

নিউজিল্যান্ডও কম যায় না। মিচেল স্যান্টনারের নেতৃত্বে তাদের স্পিন আক্রমণ ইতিমধ্যেই ১৭ উইকেট শিকার করেছে। ইতিহাস বলছে, বড় মঞ্চে ভারতকে হারানোর অভ্যাস আছে কিউইদের। শেষ আটটি আইসিসি ইভেন্টের চারটিতেই তারা ভারতকে হারিয়েছে।

ফাইনালে নজরে যেসব তারকা

কেন উইলিয়ামসন: নিউজিল্যান্ডের ছয়টি আইসিসি ফাইনালের মধ্যে পাঁচটিতেই খেলেছেন তিনি। এবার কি ইতিহাস গড়তে পারবেন?

শুভমান গিল: মাত্র দুই বছর আগেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিশতক হাঁকিয়ে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছিলেন। এবার বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ।

দলীয় সমীকরণ: পরিবর্তন নাকি সেই পুরনো ছক?

ভারত আগেই দুবাইয়ের কন্ডিশনে নিজেদের সেরা একাদশ খুঁজে পেয়েছে। তাই তাদের পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ভারতের সম্ভাব্য একাদশ:

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল, কেএল রাহুল (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি, বরুণ চক্রবর্তী।

নিউজিল্যান্ডের শিবিরে উদ্বেগ ম্যাট হেনরিকে ঘিরে। সেমিফাইনালে তার কাঁধে চোট লাগলেও ফাইনালের আগে অনুশীলনে বল করেছেন, যা স্বস্তির খবর।

নিউজিল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ:

উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন, ড্যারেল মিচেল, টম লাথাম (উইকেটকিপার), গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), কাইল জেমিসন, ম্যাট হেনরি, উইল ও’রউর্ক।

বৃষ্টি বাধা হলে কী হবে?

দুবাইয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পূর্বাভাস মিলেছে। তবে খেলা বিলম্বিত হলে অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদি ম্যাচ শেষ করা না যায়, তাহলে ১০ মার্চ রিজার্ভ ডেতে খেলা পুনরায় শুরু হবে যেখানে থেমেছিল। আর একেবারেই যদি ম্যাচ সম্ভব না হয়, তাহলে ভারত ও নিউজিল্যান্ড যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হবে, ২০০২ সালের মতো।

তবে ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করবেন, আবহাওয়া নয়, ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ করুক ২২ গজের লড়াই!





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত