ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তাওহীদ হৃদয়ের খেলা ঘিরে তৈরি হয়েছে চরম বিতর্ক। নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পরও এক ম্যাচ বিরতির পর মাঠে নামার সুযোগ পান এই ব্যাটার—যা নিয়মবহির্ভূত ও শৃঙ্খলা প্রশ্নে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন অনেকেই। এ বিতর্কের জেরে বিসিবির চাকরি ছেড়েছেন দেশসেরা আম্পায়ার শরফদৌল্লা ইবনে শহীদ। শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে তাওহীদ হৃদয়কে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, সেই দুই ম্যাচে তার মাঠে নামার সুযোগ ছিল না। কিন্তু বিস্ময়করভাবে তিনি এক ম্যাচ পরই আবার খেলে ফেলেন। নিয়মের বাইরে গিয়ে বিসিবি আম্পায়ার কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় তাকে খেলতে দেওয়ার—যার এখতিয়ার তাদের ছিল না।
বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, `আমরা প্রক্রিয়ার কিছুটা বাইরে চলে গিয়েছিলাম। বাই ল পরিবর্তন করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটা করার এখতিয়ার এই কমিটির নেই… দুর্ভাগ্যবশত পূর্বের একটা সিদ্ধান্তের কারণে যাকে দুটো ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তাকে এক ম্যাচ পর খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।`
তিনি আরও জানান, আগের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে আনা না গেলেও ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়, সেজন্য পুরনো নিয়মে ফিরে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। `পূর্বে আমরা যে পরিবর্তন করেছি, সেটাকে বাদ দিয়ে আগের নিয়ম বলবৎ করতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী ম্যাচে তাওহীদ হৃদয় খেলতে পারবে না।`
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রিকেট মহলে প্রশ্ন উঠেছে—শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিয়মের প্রয়োগ কি শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ? একজন খেলোয়াড়ের জন্য নিয়ম ভেঙে সিদ্ধান্ত নিলে, তা লিগের স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার ন্যায্যতা কতটা বজায় থাকে?
তাওহীদ হৃদয় নিজে এই বিতর্ক নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। এখন দেখার বিষয়, তাওহীদের মতো উদীয়মান খেলোয়াড়দের ঘিরে আর কোনো বিতর্ক উঠে কি না—এবং বিসিবি তা কিভাবে সামলায়।