লাহোরে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে একপ্রকার আগ্রাসী ঝড় তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দল। মাত্র ১০.৫ ওভারেই ১৬৮ রান তুলে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। কিন্তু এই দাপুটে জয়ের পরও বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারল না ক্যারিবীয় নারীরা। কারণ, প্রয়োজনীয় নেট রান রেটের মানদণ্ডে তারা পেছনে পড়ে গেল বাংলাদেশের।
থাইল্যান্ডের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে সমীকরণ ছিল খুবই কঠিন। বিশ্বকাপে যেতে হলে তাদের জিততে হতো ১০ কিংবা ১১ ওভারের মধ্যেই। এমনকি ১০ ওভারে স্কোর সমান করে, ১২ ওভারের মধ্যে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করলেও বাংলাদেশকে পেছনে ফেলা সম্ভব ছিল। কিন্তু তারা সেটা পারেনি।
তাদের ইনিংসের ঝড়ো শুরুটা দেখে একসময় মনে হচ্ছিল, হয়তো সম্ভবই হয়ে যাবে এই অসম্ভব। অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস মাত্র ২৯ বলে করেন ৭০ রান। তার সঙ্গে ঝড় তোলেন চিনেল হেনরি (১৭ বলে ৪৮) ও কিয়ানা জোসেফ (১২ বলে ২৬)। মাত্র ৬১ বলে ১৫০ রান তুলে ফেলার পরও শেষ পর্যন্ত ১০.৫ ওভারেই থামতে হয় তাদের, স্কোরবোর্ডে তখন ১৬৮। প্রয়োজনের চেয়ে ৫ বল বেশি খেলায় তাদের নেট রান রেট দাঁড়ায় ০.৬২৬ আর বাংলাদেশের ০.৬৩৯। ফলে অল্প ব্যবধানে বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না ক্যারিবীয়দের।
এর ফলে ৬ উইকেটে জিতলেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি বল খরচ করায় নেট রান রেটে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশেরই বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়।
এর আগে, থাইল্যান্ড নারী দল ৪৬.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৬ রান। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন নাত্থাকান চান্থাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন আফি ফ্লেচার, ১০ ওভারে মাত্র ২০ রানে নেন ৪ উইকেট।
এদিন ম্যাচ জিতেও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্যারিবীয়রা। আর নেট রান রেটের নাটকীয়তায় বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ নারী দল।