Homeঅর্থনীতিরেমিট্যান্স সংগ্রহে রেকর্ড, মার্চে এল ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার

রেমিট্যান্স সংগ্রহে রেকর্ড, মার্চে এল ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানামুখী তৎপরতা ও প্রবাসীদের ইতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে রেমিট্যান্সে। একক মাস হিসেবে এ বছর মার্চে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। যার পরিমাণ ৩ দশমিক ২৯ বিলয়ন ডলার। আর আগে করোনা মহামারির সময় এক মাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী—গত মার্চ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২৯ কোটি বা ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন প্রায় ১১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। ইতিপূর্বে এত রেমিট্যান্স প্রবাহ আর কখনো দেখা যায়নি।

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে জুলাই মাসে ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স আসে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। এ বছর মার্চ মাসে সেই রেকর্ড অতিক্রম করে নতুন ইতিহাস তৈরি হলো।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একের পর এক পদক্ষেপ নেয়। পাশাপাশি সরকার নীতিগত সহায়তা এবং প্রবাসীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রচারণা চালায়। কিন্তু হুন্ডি কারবারিদের দৌরাত্ম্যের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ খুব একটা বাড়তে দেখা যায়নি। এক মাসে খানিকটা বাড়লেও পরের মাসে তা আবার কমেছে। তবে গত আগস্ট মাসে সরকারের পালাবদলের পরই ধারাবাহিকভাবে বেড়ে যায় রেমিট্যান্সের গতি। অন্যদিকে, খোলাবাজারের মতোই ব্যাংকে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৮ লাখ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে এবং আগস্টে যার পরিমাণ ছিল ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একের পর এক পদক্ষেপ নেয়। পাশাপাশি সরকার নীতিগত সহায়তা এবং প্রবাসীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রচারণা চালায়। গত বছর সরকার বদলে হুন্ডি কারবারিদের দৌরাত্ম্যের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স বাড়ার পেছনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ইতিবাচক খবর প্রবাসীদের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তা ছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে আরও বেশি বেড়েছে রেমিট্যান্স আসায় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত