Homeঅর্থনীতিমেরিল বেবির পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হলো ‘বর্ণমেলা ২০২৫’

মেরিল বেবির পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হলো ‘বর্ণমেলা ২০২৫’


মেরিল বেবির পৃষ্ঠপোষকতায় ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে প্রথম আলো আয়োজিত ‘বর্ণমেলা ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেরিল বেবি’র পাশাপাশি, সহযোগিতায় ছিল স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের আরও দুটি ব্র্যান্ড, সুপারমম ও সেপনিল।

এবারের বর্ণমেলায় শিশুদের জন্য ছিল উপযোগী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা সহ বর্ণাঢ্য সব আয়োজন, যা শিশুদের বাংলা বর্ণমালার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং শেখার অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দময় করে তোলে।

মাতৃভাষার প্রতি নতুন প্রজন্মের ভালোবাসা আরও গভীর করতে এবং বর্ণ শেখার অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দময় করে তুলতে, মেরিল বেবি’র বর্ণিল বর্ণ স্টল ছিল রঙিন মজার এক ঠিকানা। এখানে শিশুদের জন্য ছিল বর্ণের খেলাধুলা, ডুডল আর্ট এবং আকর্ষণীয় উপহার, যা শেখার আনন্দকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি, শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের সুরক্ষা ও যত্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করা হয়, যাতে অভিভাবকরা তাদের শিশুর সুস্থ ও সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারেন।

সেপনিলের ‘আমার বর্ণ আমার হাতে’ স্টলে এসে শিশুরা নিজেদের পছন্দমতো বর্ণগুলো মাটি দিয়ে নিজেরাই তৈরি করেছিল, পাশাপাশি রংও করেছিল। তাই নয়, সেগুলো তারা সাথে করে নিয়েও গিয়েছিল ঘর সাজানোর জন্য। সেই সঙ্গে শিশুদের শেখানো হয়েছিল পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা ও হাত ধোয়ার সঠিক নিয়মাবলি।

বর্ণমেলায় প্রতিবারের মতো এবারও ছিল সবার প্রিয় সুপারমম-এর বাড়ি। নবজাতক ও তাদের মায়েদের সুবিধার্থে সেখানে সবসময় ছিল ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার এবং ডায়াপার পাল্টানোর সুব্যবস্থা। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাবুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ মায়েদের চিন্তামুক্ত রেখেছিল মেলাজুড়ে।

দুরন্ত শৈশবের আনন্দ নিয়ে জমে উঠেছিল এবারের বর্ণমেলা। দিনব্যাপী বর্ণমেলায় ছিল নানামাত্রিক সাংস্কৃতিক আয়োজন, যা এ প্রজন্মের সামনে আমাদের ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছিল। বর্ণমেলায় ছিল বর্ণ-রঙের খেলা, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস প্রদর্শন, বর্ণ ও ভাষার নকশায় পোশাক, বই, খাবার এবং ভাষা ও বর্ণের গান, কবিতা, পাপেট শো ও ডাকটিকিট প্রদর্শনী। এছাড়া, প্রথমা বইয়ের দুনিয়া, কিশোর আলো ও বিজ্ঞানচিন্তা ছিল বিশেষ আকর্ষণ। দিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন দেশের সেরা লেখক, শিল্পী, গায়ক, বুদ্ধিজীবীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর হেড অব মার্কেটিং ড. জেসমিন জামান বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হল পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে মাতৃভাষা এবং দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ ও শ্রদ্ধা গড়ে তোলা। বাংলা ভাষার ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং সংগ্রামী। স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড বিশ্বাস করে যে, মাতৃভাষার প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা বাড়াতে এমন উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

সারাদিনব্যাপী এই উৎসবে শিশু ও অভিভাবকরা দারুণ আনন্দ উপভোগ করেছেন, যা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে অনুপ্রাণিত করবে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত