পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ৬টি কোম্পানির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। এসব প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে বিএসইসি। তবে প্রতিবেদনে কী রয়েছে এবং অনিয়মের পেছনে কারা রয়েছেন, সেসব বিষয়ে কিছু প্রকাশ করেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিএসইসি। এতে সই করেছেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
বিএসইসি জানায়, বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক গঠিত ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ ইতোমধ্যে ৬টি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের নিকট জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম চলমান আছে।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়া কোম্পানিগুলো হলো বেক্সিমকো গ্রীন-সুকুক আল ইসতিসনা, আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড, বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড, আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, ফরচুন সুজ লিমিটেড এবং কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড, যা আগে পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালারস লিমিটেড নামে পরিচিত ছিল।
বিএসইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অতীতে এসব কোম্পানিগুলোতে যেসব অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোতে বিএসইসির আগের কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ২ কমিশনার ও অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সেগুলো উঠে আসতে পারে। যার কারণে বিএসইসি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না। কেবল যেসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর নাম প্রকাশ করা হচ্ছে।
তবে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সবার উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হবে।