Homeঅর্থনীতিবাংলালিংকের ২০ বছর পূর্তিতে এআই-নির্ভর ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির প্রত্যয়

বাংলালিংকের ২০ বছর পূর্তিতে এআই-নির্ভর ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির প্রত্যয়


বাংলাদেশের উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংকের ২০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের জন্য এআই-নির্ভর আগামী ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করেছে। গতকাল মঙ্গলবার ২০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে বাংলালিংক।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই মাইলফলক ইভেন্টে শিল্প খাতের প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক অংশীদার ও সরকারি অংশীজনেরা একত্র হন এবং গত দুই দশকের রূপান্তরমূলক যাত্রার ওপর আলোকপাত করেন। আয়োজনে বাংলালিংকের পক্ষ থেকে আগামীর বাংলাদেশে ডিজিটাল উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ উন্মোচন করা হয়।

২০ বছর ধরে বাংলালিংক বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ফলে সাশ্রয়ী ভয়েস কল সেবা প্রদানকারী থেকে দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে বাংলালিংক। এ দেশে ডিজিটাল সেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলালিংকের বৈচিত্র্যময় ডিজিটাল পোর্টফোলিও ও সমাধানের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের জন্য মোবাইল যোগাযোগ, প্রযুক্তি ও ডিজিটাল পরিষেবা আরও সহজলভ্য করেছে। এভাবেই বাংলাদেশের মেধাবীদের দ্বারা বাংলাদেশিদের জন্য তৈরি করা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এ দেশের মানুষের ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে এই ডিজিটাল অপারেটর।

দেশের প্রথম টেলকো-সুপারঅ্যাপ মাইবিএল থেকে শুরু করে এ দেশের মেধাবীদের হাতে তৈরি সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টফি এবং বিশেষ করে, তরুণদের জন্য প্রথমবারের মতো নিয়ে আসা এআই-ভিত্তিক ডিজিটাল সমাধান ‘রাইজ’—এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলালিংক টেলিযোগাযোগ খাতে ডিজিটাল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন, সৃজনশীলতা বাড়ানোর উপকরণ এবং উদ্যোক্তাবান্ধব সুযোগ সৃষ্টি করার মাধ্যমে এ দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

একটি দিনের প্রতিটি মুহূর্তে গ্রাহকদের জন্য অসামান্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ভিওনের ডিও ১৪৪০ কৌশলের সঙ্গে সংগতি রেখে সময়োপযোগী ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসছে বাংলালিংক। এর মাইবিএল সুপারঅ্যাপ প্রায় ৮০ লাখ মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর বিস্তৃত চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, প্রতি মাসে প্রায় ৭০ লাখ ব্যবহারকারীসহ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে টফি। এ ছাড়া চালু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সর্বাধুনিক এআই-সমর্থিত ফিচারের কারণে এরই মধ্যে তরুণদের মাঝে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে রাইজ।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভিওনের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা অগি কে ফাবেলা বলেন, বাংলালিংকের ২০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে আমরা বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। সামগ্রিকভাবে এই ২০ বছর ধরে আমরা টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ডিজিটাল সেবার মান প্রতিনিয়ত আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। ফলে বিগত কয়েক বছরে আমরা আরও বিবর্তিত হয়ে দেশের ডিজিটাল সক্ষমতা নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে নিতে পেরেছি। আগামীর পথে বাংলাদেশের এই যাত্রায় বাংলালিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারছে বলে আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।

দেশকে প্রবৃদ্ধির পথে পরিচালনা করতে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে ভিওনের গ্রুপ সিইও ও বাংলালিংক বোর্ডের চেয়ারম্যান কান তেরজিওগ্লু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দেশের প্রবৃদ্ধির নতুন ভিত্তি স্থাপন করতে কাজ করে যাচ্ছে; অগমেন্টেড ইন্টেলিজেন্সসহ আরও আধুনিক ডিজিটাল অপারেটর মডেল এই যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী আমরা। এ দেশের মেধাবীদের হাতে তৈরি টফি, মাইবিএল ও রাইজের মতো ডিজিটাল সেবা কেবল বাংলালিংকের কানেকটিভিটি নিশ্চিত করেনি; একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি কোণে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্য ও বিনোদন পৌঁছে দিয়েছে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত