ক্যাশলেস অর্থনীতির বিকাশ ত্বরান্বিত করতে নানা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বাংলাদেশ। এবার এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিতে ভিসা ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসি এর সহযোগিতায় ‘ফার্মার কার্ড’ নিয়ে এলো আইফার্মার। এ উপলক্ষে গত ৩১ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গার দামুরহাট উপজেলার ছুটিপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ১৭ জন নিবন্ধিত কৃষকের মাঝে এই কার্ড বিতরণ করে আইফার্মার। কর্মসূচিতে প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন এলাকার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে এই কার্ড বিতরণ করা হবে। দেশজুড়ে ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি শক্তিশালী করতে আগামীতে আরও বহু কৃষকের মাঝে এটি বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে আইফার্মারের।
কৃষকদের ক্যাশলেস লেনদেনে উৎসাহিত করা ও অর্থনীতির ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতিকে শক্তিশালী করাই এই যৌথ উদ্যোগের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। ফার্মার কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের লেনদেনের হিসাব সহজেই রাখতে পারবেন। একইসঙ্গে আইফার্মার থেকে সার, বীজ ও কীটনাশকের মতো কৃষি উপকরণসহ সব রকম ক্রেডিট-পরবর্তী সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। ফলে তাদের নগদ টাকা বহন সম্পর্কিত নিরাপত্তা ঝুঁকি কমে আসবে।
কৃষকদের প্রথাগত কৃষি কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে আসবে এই ফার্মার কার্ড। এই যৌথ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে কৃষিখাতের ডিজিটাল আর্থিক সেবার পরিসর আরও শক্তিশালী হবে। বিশেষ করে, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে স্থানীয় অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়তা করবে।
এ বিষয়ে আইফার্মারের হেড অব প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট মুহাইমিনুল হোসেন বলেন, ‘একটি টেকসই আগামী বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমাদের কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তিতে সক্ষম করে তোলায় বিশ্বাস করি আমরা। ফার্মার কার্ড প্রান্তিক কৃষকদের ক্যাশলেস অর্থনীতিতে সংযুক্ত হওয়ার উপায় তৈরি করবে এবং ডিজিটাল যুগের জন্য তাদের প্রস্তুত করে তুলবে। পাশাপাশি এই উদ্যোগ তাদের আর্থিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে ও কৃষক সম্প্রদায়ের মাঝে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহনশীলতা বিকাশে সহায়তা করবে।’
আয়োজনে গ্রামীণ অঞ্চলে এই উদ্যোগের প্রভাব আলোচনা ও কার্ড বিতরণে উপস্থিত ছিলেন আইফার্মারের হেড অব প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট মো. মুহাইমিনুল হোসেন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চুয়াডাঙ্গা শাখার প্রধান মো. তৌহিদুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ক্রেডিট-ইন-চার্জ আকবর হোসেন এবং রাজশাহী শাখার রিলেশনশিপ অফিসার (ন্যাশনাল সেলস) মাহমুদুল হক।