সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে বেড়েছে এক টাকা। গতকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে। এবার বাড়ল ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। চলতি ফেব্রুয়ারিতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা। গত মাসে দাম ছিল ১ হাজার ৪৫৯ টাকা। সে হিসাবে সিলিন্ডার প্রতি দাম বেড়েছে ১৯ টাকা। ১২ কেজির এই সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় রান্নার কাজে।
আজ রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন দাম ঘোষণা করেন। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
বিইআরসি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। যদিও বাজারে নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রি না হওয়ার অভিযোগ আছে।
বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাট) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১২৩ টাকা ১৬ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১২১ টাকা ৫৬ পয়সা।
সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা, যা আগে ছিল ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।
এর আগে সর্বশেষ গত ৩১ জানুয়ারি জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৫ টাকা করা হয়েছে। পেট্রলের দাম প্রতি লিটার ১২১ টাকা থেকে বেড়ে ১২২ টাকা ও অকটেনের দাম ১২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১২৬ টাকা হয়েছে। দাম কার্যকর হয় ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।