আফ্রিকার দেশ সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা দেশটিতে গণহত্যা চালিয়েছে বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যকার সংঘাতে কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র আরএসএফের নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো (হেমেদতি)-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেন, আরএসএফ এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা অব্যাহতভাবে বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে গেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে পুরুষ ও ছেলেদের জাতিগত ভিত্তিতে হত্যা করেছে এবং নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর নারী ও মেয়েদের ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন সহিংসতার জন্য টার্গেট করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই মিলিশিয়ারা সংঘাত থেকে পালিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। এই নৃশংস অপরাধের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে আরএসএফের নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো (হেমেদতি)-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তার ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনো সম্পদ থাকলে তা জব্দ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এক পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, প্রায় দুই বছর ধরে হেমেদতির আরএসএফ সুদানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর (এসএএফ) সঙ্গে একটি নির্মম সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। এতে কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। ১.২ কোটি সুদানিজ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ব্যাপকভাবে দুর্ভিক্ষের সূচনা হয়েছে।
সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে, যা একটি মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যর্থতার মুখোমুখি হচ্ছে। সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে ২০২৩ সালের এপ্রিলে এই যুদ্ধ শুরু হয়।
এ ইউ/