Homeপ্রবাসের খবরসাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান

সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান


আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের ১৬টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দেশের তিন ব্যাংকে খোলা হিসাবগুলোতে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা আছে বলে জানতে পেরেছে সংস্থাটি। হিসাবগুলো স্থগিত করা হয়েছে ইতোমধ্যে।

সন্ধান মেলা হিসাবগুলোর মধ্যে ৭টি হিসাবই ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী শাখায়। এর মধ্যে ৬টি হিসাবে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে রাখা আছে ৫ কোটি টাকা এবং অন্য এক হিসাবে এসসি গোল্ডেন বেনিফিটস হিসেবে রাখা ৫০ লাখ ৮১ হাজার টাকা। বাকি ৯টি হিসাবের সন্ধান দুদক পেয়েছে সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকে। এ ব্যাংক হিসাবগুলোতে ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জমা থাকার তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি।

ব্র্যাক ব্যাংক সূত্রে দুদক জানায়, আনিসুল হকের নামে থাকা ১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৬, ১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৫, ১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৪ এবং ১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৩ নম্বর হিসাবে গোল্ডেন ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে ১ কোটি টাকা করে মোট চার কোটি টাকা জমা পাওয়া গেছে। এছাড়া ব্যাংকটির বানানী শাখায় হিসাব নং-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০১ এ এসবিএ এসিসি গোল্ডেন বেনিফিটস ৫০ লাখ ৮১ হাজার ৬৯৭ টাকা, হিসাব নং-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০১ এর ফিক্সড ডিপোজিট প্লাসে রয়েছে ৫০ লাখ টাকা ও হিসাব নং-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০২-এ ফিক্সড ডিপোজিট প্লাসে ৫০ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।

এছাড়া সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ৯টি ব্যাংক হিসাবে সাবেক এ মন্ত্রীর ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক। ওই টাকা আনিসুল হকের নিজ ও নিকট আত্মীয়দের নামে ব্যাংকে ডিপোজিট হিসেবে পাওয়া গেছে।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সিটিজেন ব্যাংকের গুলশান শাখার ৫টি ব্যাংক হিসাবে আশেকুছ সামাদ ও জেবুন্নেছা বেগম হকের নামে ৯ কোটি কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ১১২ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়া গেছে। এ দুজন সম্পর্কে আনিসুল হকের ভাই-বোন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় সাবেক এ মন্ত্রীর তিনটি ব্যাংক হিসাবে যথাক্রমে ৪ কোটি ১৩ লাখ ১৩ হাজার, ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ও ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকার জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তিনটি ব্যাংকে আনিসুল হক ও তার পরিবারের নামে প্রায় ২১ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও পাচারের অভিযোগ থাকলেও দালিলিক প্রমাণ ছাড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে না দুদক। তথ্য সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। এর অংশ হিসেবেই তিন ব্যাংকে আনিসুল হকের প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং ফ্রিজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেই আপাতত মনে হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, দুদকের অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করলে এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

এম এইচ/ 



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত