চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের দারোগারহাট বাজারের নোয়াপাড় এলাকায় মো. মহিউদ্দিন নামের এক প্রবাসী খুন হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিক এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মহিউদ্দিন উপজেলা ইছাখালি ইউনিয়নের মাদবারহাট এলাকা নন্দীগ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
মহিউদ্দিনের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে মীরসরাই উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বামন সুন্দর বাজার এলাকার নওয়াপাড়ায় মিসির আহমেদের ছেলে মো. শরীফের সঙ্গে বিয়ে হয় নিহত মহিউদ্দিনের ছোট বোন সেলিনা আক্তারের। শরিফ পেশায় গরু ব্যবসায়ী। তাদের সংসারে দুই বছর ও আট মাস বয়সের দুটি মেয়েসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই দফায় দফায় বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে চাপ দিতো শরীফ। সর্বশেষ শুক্রবার দিনভরও সেলিনাকে বাবার বাড়ি থেকে প্রাপ্য জমির ভাগের টাকা আনতে মারধর ও নির্যাতন করে শরীফ।
এই খবর পেয়ে বিদেশ থেকে বাড়িতে আসা সেলিনার বড় ভাই মহিউদ্দিন বিবাদ মিটাতে তার চাচাতো ভাই মো. সোহাগ, বড় বোনের ছেলে মেহেদী হাসান ও বড় বোনের জামাই আজিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বোন সেলিনা আক্তারের স্বামীর বাড়িতে যান। সেখানে গেলে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সেলিনার স্বামী শরীফ তার বাবা-মা ও আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মহিউদ্দিনকে লাথি ও কিলঘুষি মারে। এ সময় মহিউদ্দিনের বোন সেলিনা আক্তার ভাইকে বাঁচাতে আসলে মারধর করে তারও একটি পা ভেঙে দেয়। লাথি ও কিলঘুষির পর ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে মহিউদ্দিন। পরে মহিউদ্দিনের সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, পারিবারিক বিবাদ মিটাতে বোনের বাড়িতে গিয়ে বোনের স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের হাতে মারধরের শিকার হয়ে প্রবাসী মৃত্যুর বিষয়টি সত্য। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছি আমরা।
এ ইউ/