Homeপ্রবাসের খবরমালয়েশিয়ায় ৮৫ বাংলাদেশিসহ ৫৯৮ অবৈধ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ায় ৮৫ বাংলাদেশিসহ ৫৯৮ অবৈধ অভিবাসী আটক


মালয়েশিয়ার ক্লাং শহরের মেরু’র একটি বাজারে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানে ৬৩০ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৫৯৮ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। আটকদের মধ্যে ৮৫ জন বাংলাদেশি ছাড়াও ২ জন নারীও রয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে এসব অভিবাসীদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৫৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিক। বাকিরা হলেন- ইন্দোনেশিয়া ৭ জন, ভারতের ৫ জন ও নেপালের নাগরিক একজন।

দেশটির অভিবাসন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশনস) জাফরি এমবোক তাহা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শনিবার ভোর রাতে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে ৫৯৮ জন অভিবাসীদের আটক করা হয়। অভিবাসন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে এ সময় মেরুর পুরো বাজার এলাকা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং লোকজন এদিকে-ওদিকে ছোটাছুটি শুরু করে। অনেকে টেবিলের নিচে, ড্রেনে কিংবা গোপন স্থানে লুকিয়ে ছিল। তবে তাদের বেশিরভাগকে খুঁজে বের করে আটক করতে অভিবাসন বিভাগ সামর্থ্য হয়।

আটকদের অনেকেই ইউএন কার্ডধারী বলে দাবি করলেও তার বৈধতা পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে বলেন তিনি।

আটকের পর শাহরিয়াল জিমিন (৪০) নামে এক অভিবাসী বলেন, ‘ইমিগ্রেশনের উপস্থিতি টের পেয়ে আমি পালাতে গিয়ে আহত হয়েছি। আসলে বৈধ কাগজ না থাকায় আমি পালাতে চেয়েছিলাম।’ ২০০৪ সালে মালয়েশিয়ায় আসেন শাহরিয়াল। তবে ২০০৬ সালে অভিবাসন বিভাগ আটক করে তাকে দেশে পাঠায়। এরপর ২০২২ সালে তিনি আবারও মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেন। তবে ২ বছর ধরে তার বৈধ কাগজপত্র নেই বলে জানান তিনি।

আরেক ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক মেরি মানু (৩৫) জানান, মাছ কিনতে এই বাজারে এসে আটক হয়েছেন তিনি। তবে তার কাছে ইউএন কার্ড আছে যদিও তার মেয়াদ গত বছরের নভেম্বরে শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালে নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় এসেছেন তিনি, এরপর থেকে পাইকারি বাজার থেকে মাছ কিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করেন।

অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আটকদের সিমিনি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ইউ/



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত