ফাল্গুন মাসের ১৫ তারিখে উদযাপন করা হয় হোলি উৎসব। শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভারতজুড়ে উদযাপন হবে হিন্দু সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন এই হোলি উৎসব। আর এই উৎসবের কারণে দেশটির উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যাসহ বিভিন্ন স্থানে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে জুমার নামাজ।
সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই ঘোষণা দেয়। এতে বলা হয়, হোলি উৎসবের কারণে অযোধ্যার মসজিদগুলোতে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ২টার পর।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের সূত্র দিয়ে বুধবার (১২ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই সপ্তাহে হোলি উদযাপনের কথা মাথায় রেখে অযোধ্যার সমস্ত মসজিদে জুমার নামাজ দুপুর ২টার পরে আদায় করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের এই শহরের এক বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতা জানিয়েছেন।
মূলত অযোধ্যার মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ হানিফ বুধবার এই সপ্তাহের জুমার নামাজের জন্য এই নির্দেশনা জারি করেন। হোলি উৎসব হতে যাওয়া এই দিনটি পবিত্র রমজান মাসের দ্বিতীয় শুক্রবারও।
এনডিটিভি বলছে, ১৪ মার্চ শুক্রবারের জুমার নামাজের সঙ্গে হোলি উদযাপনের সময়ের মিল থাকায় কর্তৃপক্ষ অনেক জায়গায় নামাজের সময় নিয়ে আলোচনা করছে। হোলির জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং কোনো ধরণের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এড়াতে শান্তি কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অযোধ্যার কেন্দ্রীয় মসজিদ- মসজিদ সরাইয়ের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ বলেন, হোলি উদযাপনের জন্য জুমার নামাজের সময় সমন্বয় করা হবে।
তিনি বলেন, ‘হোলি উৎসবের সময় বিবেচনা করে আমরা সব মসজিদকে জুমার নামাজ দুপুর ২টার পরে আদায়ের নির্দেশ দিয়েছি। কারণ বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত জুমার নামাজ পড়ার সুযোগ থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের হোলির সময় ধৈর্যশীল এবং উদার থাকার আহ্বান জানিয়েছি। যদি কেউ তাদের গায়ে রঙ লাগায়, তাহলে তাদের হাসিমুখে সাড়া দেওয়া উচিত এবং ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার চেতনায় ‘হোলি মোবারক’ বলা উচিত। একইদিনে হোলি এবং জুমার নামাজ এবারই প্রথম নয়। এটি প্রায়শই হয় এবং এটি আমাদের ঐক্য গড়ে তোলার একটি দারুণ সুযোগ।’
সূত্র: এনডিটিভি
এম এইচ/