Homeপ্রবাসের খবরধানমন্ডি ৩২ এ ভাঙচুর, যা বললেন সোহেল তাজ – প্রবাস খবর

ধানমন্ডি ৩২ এ ভাঙচুর, যা বললেন সোহেল তাজ – প্রবাস খবর


ধানমন্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর করে। প্রথমে আগুন লাগিয়ে এরপর তা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। একে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের হত্যা, গুম, নির্যাতনের রাজনীতির নির্মম পরিণতি হিসেবেই দেখছেন দলটির সাবেক সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি জানান। হত্যা, গুম, নির্যাতন, দুর্নীতি, ভোটাধিকার হরণসহ বিগত ১৫ বছরের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি।

তার অভিমত, আওয়ামী লীগ জনরোষে পড়ার পরও শোধরায়নি, তারই পরিণতি ধানমন্ডি ৩২ এ ভাঙচুর। তিনি সে ভাঙচুরের খবরের স্ক্রিনশট দিয়ে ক্যাপশনে লেখেন, ‘কি নির্মম পরিণতি—১৫ বছরের হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস, ভোট অধিকার হরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, লাখ লাখ কোটি টাকা অর্থ পাচার এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যা করে আত্মউপলব্ধি, আত্মসমালোচনা, অনুশোচনা না করে, ক্ষমা না চেয়ে আবার বিদেশে বসে এখন আন্দোলনের ডাক দিলে আর কি পরিণতি হতে পারে?’

পোস্টটি কাদের উদ্দেশ্যে করেছেন, তা জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন/নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী চোর/মাফিয়াদের সমর্থনকারী ব্রেন ওয়াসড নব্য কাওয়া বডিলীগ এর চামচাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

তিনি আরো লেখেন, ‘নীতি আদর্শ বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নেই—আমি আপনাদের চিনি।’

সোহেল তাজ তার ফেসবুক অনুসারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ব্রেন ওয়াশড নষ্ট পচা নীতি/আদর্শ বিচ্যুত লুটেরা খুনি হত্যা গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থকদের বলবো, অনতিবিলম্বে আমার এই ফেসবুক পেইজটি আনফলো করুন।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মউপলব্ধি, আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করুন।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। ব্যক্তিগতভাবেও তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে তিনি দায়িত্ব পেয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর। তবে সে পদে বেশিদিন ছিলেন না তিনি। এরপরই তিনি রাজনীতি থেকে সরে যান তাজ। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন।

এম এইচ/



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত