প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এতে আসামি হিসেবে ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ৭০–৮০ জন।
পুলিশের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন রমনা মডেল থানার এসআই আবুল খায়ের। মামলায় আসামিদের পলাতক দেখানো হয়েছে।
আসামিরা হলেন- অংঅং মারমা (২৫), ইডেন কলেজ শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সুমাইয়া শাহিনা (২৫), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আদ্রিতা রায় (২৩), ছাত্র ফেডারেশন নেতা আরমান (৩০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু (২৮), ঢাকা মহানগর শাখা ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি আল আমিন রহমান (২৫), রিচার্ড (২৬), হাসান শিকদার (২৫), সীম্য আক্তার (২৫), সৌকত আরিফ (২৬), মাঈন আহাম্মেদ (২৪) এবং ফাহিম আহাম্মদ চৌধুরী (২৫)।
নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে রাজধানীর ৩০টি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন।
ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন। পথে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ।
এসময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।
এ ইউ/