Homeপ্রবাসের খবর৪ বছর মেয়াদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়

৪ বছর মেয়াদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়


ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি সংবিধানের সংস্কারে গঠিত কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেখানে ৪ বছর মেয়াদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের সুপারিশ করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তাদের সুপারিশগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে একটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করা হয়েছে। যার মধ্যে নিম্নকক্ষ জাতীয় সংসদ বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি নামে পরিচিত হবে এবং উচ্চকক্ষ সিনেট নামে পরিচিত হবে এবং উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে চার বছর।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, সংবিধানে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ এর পরিবর্তে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ হবে। রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ বাদ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ‘বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি’ বিধানটি বিলুপ্তের সুপারিশ এবং পরিচিত হবেন ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে।

সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় সংসদে দুইজন ডেপুটি স্পিকার থাকবেন, যাদের মধ্যে একজন বিরোধী দল থেকে মনোনীত হবেন। একজন সংসদ সদস্য একই সঙ্গে যেকোনো একটির বেশি পদে অধিষ্ঠিত হবেন না। সেগুলো হলো-প্রধানমন্ত্রী, সংসদনেতা এবং রাজনৈতিক দলের প্রধান। অর্থবিল ব্যতীত নিম্নকক্ষের সদস্যরা তাদের মনোনয়নকারী দলের বিপক্ষে ভোট দেয়ার পূর্ণ ক্ষমতা, অর্থাৎ ফ্লোর ক্রসিংয়ের সুযোগ থাকবে। আইনসভার স্থায়ী কমিটিগুলোর সভাপতি সব সময় বিরোধীদলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে মনোনীত হবেন।

একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ দুবার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তিনি একাদিক্রমে দুই বা অন্য যেকোনোভাবেই এই পদে আসীন হন না কেন, তাঁর জন্য এ বিধান সমভাবে প্রযোজ্য হবে। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হিসেবে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না।

নিম্নকক্ষ সরাসরি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। ৪০০ আসন নিয়ে নিম্নকক্ষ গঠিত হবে। এর মধ্যে ৩০০ জন সদস্য একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। আর ১০০ জন নারী সদস্য সারা দেশের সব জেলা থেকে এই মর্মে নির্ধারিত ১০০ নির্বাচনী এলাকা থেকে কেবল নারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন।

এ ইউ/ 



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত