এক দু মিনিট নয়, একেবারে টানা ৪৪ মিনিট ধরে স্বামীর মৃত্যুর দৃশ্য দেখেছেন স্ত্রী। ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে স্বামী নিজেকে শেষ করেছেন,কিন্তু স্ত্রী কিছু বলেননি। স্ত্রী ও শাশুড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বেঁচে থাকার আর ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছিলেন ওই যুবক। পুলিশ ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার সিরমৌর থানা এলাকায় স্ত্রী ও তাঁর শাশুড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ইনস্টাগ্রামে লাইভে এসে আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে রেওয়া জেলার সিরমৌর তহসিলের মাহরি গ্রামে।
বছর দুয়েক আগে বৈকুণ্ঠপুরের রিমারি গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়া শর্মার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শিবপ্রকাশ ত্রিপাঠীর। প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাক চললেও কয়েক মাস পর গোপনে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন প্রিয়া। বিষয়টি জানতে পেরে শিবপ্রকাশ পরিবারের সদস্যদের কিছু জানাননি। শিবপ্রকাশ সব রকম পরিস্থিতিতে নিজের দাম্পত্য জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এরই মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটাচলা করতেন শিবপ্রকাশ।
স্বামীকে ক্রাচে ভর দিয়ে চলতেন। সেই সময় সদ্যোজাতকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান প্রিয়া। এ সময় শিবপ্রকাশ শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও প্রিয়া শ্বশুরবাড়িতে আসেননি। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্ত্রী অন্য কারও প্রেমে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। প্রেমিকের সঙ্গে নিয়ে শিবপ্রকাশকেও মারধর করেন তিনি।
আত্মহত্যার ১৫ মিনিট আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে এসে কারও সঙ্গে কোনও কথা না বলেই নিজের ঘরে চলে যান শিবপ্রকাশ। ইনস্টাগ্রামে লাইভে এসে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এ সময় তার স্ত্রীও তার মৃত্যুর দৃশ্য সরাসরি দেখছিলেন, কিন্তু তিনি পরিবারের কাউকে বা পুলিশকে এ বিষয়ে অবহিত করেননি। পরিবারের আক্ষেপ, প্রিয়া যদি পরিবারকে ঘটনাটি জানাতেন তাহলে হয়তো তার প্রাণ বাঁচানো যেত।
এসডিপিও উমেশ প্রজাপতি জানিয়েছেন, সিরমৌর পুলিশ মৃতের স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে । মৃতের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কিছু সূত্রও পেয়েছে পুলিশ। আপাতত গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ ইউ/