Homeপ্রবাসের খবর২৩ দিনেই রেমিট্যান্স ছাড়ালো ২ বিলিয়ন ডলার

২৩ দিনেই রেমিট্যান্স ছাড়ালো ২ বিলিয়ন ডলার


রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের গতিপ্রবাহেও হাওয়া লাগে। চলতি ফেব্রুয়ারির মাত্র ২৩ দিনেই বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে এতো অল্প সময়ে এতো পরিমাণ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড নেই।

এ ধারা অব্যাহত থাকলে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন রেকর্ড হতে পারে ফেব্রুয়ারিতে। কারণ, মাসভিত্তিক হিসাবে গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। ফেব্রুয়ারিতে সেটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মাস ফেব্রুয়ারির ২৩ দিনে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ২০৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার ৩২৭ কোটি টাকার বেশি। এভাবে রেমিট্যান্স আসা অব্যাহত থাকলে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতির অন্যতম এ খাতটি।

এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা সাত মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে রেমিট্যান্স।

এর আগে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টে আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে রেকর্ড ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়া‌রি‌তে রেমিট্যান্স আসে ২১৯ কোটি ডলার।

গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বেশি। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এতো পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাই ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলো ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের (২০২৩ সালের) ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস ছাড়া বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

এদিকে, রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ওপর ভর করে বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। বর্তমানে রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২১ বিলিয়ন (২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন) ডলারে অবস্থান করছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ এখন ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৮৫ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ২৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১১ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত