লালমনিরহাটে গৃহবধূ হাসিনা বেগমকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত স্বামী আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৯ মার্চ) দুপুর ২টায় লালমনিরহাট জজ কোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) এ. কে. এম ফজলুল হক।
এর আগে শনিবার বিকালে নিহতের সতীন মেহেরুন বেগমকে (৫৪) বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আশরাফুল ইসলাম (৫৯) লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দীঘলটারী কুটিরচর এলাকার মৃত নবাব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন একজন ভ্যানচালক।
নিহত হাসিনা বেগম (৪৪) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিদালদহ দরিবাস এলাকার মৃত কাশেম আলী ও মৃত আছিমা বেগমের মেয়ে। ২৪-২৫ বছর আগে আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামে শফিকুল ইসলাম নামে এক কৃষকের ভূট্টাখেত থেকে হাসিনা বেগমের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের আঙুলের ছাপ নিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত হাসিনার স্বামী আশরাফুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, রক্তমাখা কাপড় ও ভ্যান জব্দ করে। নিহত হাসিনার সতীন মেহেরুন বেগমের দেওয়া তথ্যে পুলিশ শনিবার বিকালে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে দুর্গাপুর সীমান্ত এলাকায় তামাকখেত থেকে হাসিনার মাথা উদ্ধার করা হয।
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) এ. কে. এম ফজলুল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুনি স্বামী আশরাফুল ইসলামকে জজ কোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্ত্রী হাসিনা বেগমকে গলাকেটে হত্যার পর তিনি বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিলেন। আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যাবে কেন তিনি তার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেছেন।
সূত্র: News24
এস এইচ/