Homeপ্রবাসের খবরস্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের স্বাধীনতা পদকের আবেদন

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের স্বাধীনতা পদকের আবেদন


একে একে পার হয়েছে ৫৩ বছর। অথচ এতদিনেও কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। তবে সে অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য সরকারের কাছে আবেদনের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের বিজয় দিবস। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তান থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে লাল সবুজ পার করছে ৫৩তম বিজয় দিবস। যে বিজয় আনতে ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান রেখেছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলও।

৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ভূখণ্ডের স্বাধীনতার জন্য সব জনপদ যখন রক্তাক্ত, ঠিক তখন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর স্টেডিয়াম সাক্ষী হলো অনন্য এক ইতিহাসের। ভারতের মাটিতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল প্রথম ম্যাচটি খেলে সেদিন, প্রতিপক্ষ নদীয়া জেলা ক্রীড়া সমিতি দল। স্বাধীনতার জন্য জনমত তৈরি আর তহবিল গড়তেই এপার বাংলার একদল ফুটবলযোদ্ধা ফুটবল ম্যাচ খেলা শুরু করেন ভিনদেশে। সেখানে তারা ১৩ থেকে ১৬টি ম্যাচ খেলে তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। প্রতিটি ম্যাচের আগে উড়িয়েছিলেন বাংলাদেশ নামক নতুন রাষ্ট্রের পতাকাও।

কিন্তু আক্ষেপের বিষয় ৫৩ বছর পেরিয়েও সে দলটি পায়নি কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। তবে ইতোমধ্যে দেশের বেসামরিক সর্বোচ্চ পদক স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছে বাফুফে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে বাফুফের আয়োজিত প্রীতি ম্যাচে এ বিষয়ে কথা বলেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অবদানের কথা স্মরণ করে এই দলটির সরকার থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।

তাবিথ বলেন, ‘আমাদের বিজয়ে বড় একটা অবদান রেখেছে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। তারাই কিন্তু বাংলাদেশের পতাকা প্রথম তুলে ধরেছিলেন। নিজেদের কাজের মাধ্যমে যুদ্ধের তথ্যগুলো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই দলের অনেকে আছেন অনেকে চলে গেছেন। তবে সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও দল হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। আমরা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে এ জন্য সরকারের কাছে একটা আবেদন করেছি। আমরা আশা করি, সরকার যখন এটা বিবেচনায় নেবে আর কাদের খেতাব দেওয়া যায়—তখন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল একটা দল হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।’

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু ও কাজী সালাউদ্দিন ব্যক্তিগতভাবে স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন নব্বই দশকে। তারা দুই জন পেলেও অন্য কোনো সদস্য এবং দল হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি পায়নি। যদিও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পেয়েছেন ২০০৩ সালের গেজেটে।

এদিকে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অনেকেই না ফেরার দেশে। বেঁচে নেই অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু। সবশেষ গত ৮ ডিসেম্বর মারা যান ফজলে সাদাইন খোকন। আইনুল হক, আলী ইমাম, মেজর জেনারেল (অব.) খন্দকার নুরুন্নবী, এ কে এম নওশেরুজ্জামান, শেখ মনসুর আলী লালু, অমলেশ সেন, বিমল কর, আমিনুল ইসলাম সুরুজ, মাহমুদুর রশিদ এবং আব্দুল হাকিমরা এখন কেবল স্মৃতি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত