সিরিয়ায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে তুরস্ক ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন। কারণ সিরিয়ায় দুটি আঞ্চলিক শক্তির সামরিক বাহিনীই সক্রিয় রয়েছে। তুরস্কের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
আজারবাইজানে দুই পক্ষের মধ্যে এই আলোচনা শুরু হয়েছে। যার লক্ষ্য হলো এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান নিয়ে সম্ভাব্য সংঘর্ষ বা ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে একটি চ্যানেল স্থাপন করা।
আলোচনার পরিধি বা সময়সূচী সম্পর্কে আরও বিস্তারিত না জানিয়ে সূত্র জানিয়েছে, এই ম্যাকানিজম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েল সিরিয়ায় সম্প্রতি বিমান হামলা জোরদার করেছে, যা দামেস্কের নবগঠিত সরকারকে সতর্কবার্তা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করছে তুরস্কও।
গত সপ্তাহে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, তুর্কি সামরিক দলগুলো সিরিয়ায় কমপক্ষে তিনটি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেছে। যেখানে তারা দামেস্কের সঙ্গে একটি যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ হিসেবে নিজেদের বাহিনী মোতায়েন করতে পারে।
২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে দখলদার বাহিনীর সমালোচনা করছে তুরস্ক। এখন উভয় পক্ষই জানিয়েছে, তারা সিরিয়ায় সংঘর্ষ চায় না।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান নিশ্চিত করেছেন আলোচনা চলছে। এই ধরনের প্রক্রিয়া দুটি আঞ্চলিক শক্তির বাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স ও জাগো নিউজ
এ ইউ/