২০২৪ সালে ঢালিউড জন্ম দিয়েছে ব্যাপক আলোচনা। সেসবের মধ্যে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছিল মৃদ্যু উত্তেজনাও। এ বছর একগুচ্ছ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সেসবের বেশিরভাগই দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে কয়েকটি সিনেমা আশাও জাগিয়েছে ঢালিউডে।
এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ছিল রায়হান রাফি পরিচালিত শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’। অন্যদিকে শাকিবের জুটি হিসেবে ঢালিউডে আসা বুবলীর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘দেয়ালের দেশ’ ছবিতে। বাদবাকি সিনেমাগুলো নিয়ম মেনে মুক্তি পেয়েছে আর বিস্মৃত হয়েছে। ফিরে তাকানো যাক বছরজুড়ে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর দিকে
জানুয়ারি মাসে মেহেদী হাসানের ‘শেষ বাজি’ দিয়ে শুরু হয়েছিল ছবি মুক্তি। তরুণদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত পরিচালকদের সিনেমাও এসেছে এ বছর। সেই তালিকায় আছেন নূরুল আলম আতিক, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও আকরাম খানেরা। প্রতিশ্রুতিশীল নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, রায়হান রাফি, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের সঙ্গে এ বছর সামনে এসেছে মিশুক মনি, ধ্রুব হাসান, কুসুম সিকদার, শঙ্খ দাশগুপ্তের নাম। বছর শেষ হচ্ছে আকরাম খান পরিচালিত জয়া আহসান অভিনীত ‘নকশী কাঁথার জমিন’ ছবির মুক্তির মাধ্যমে।
তুফান ছবির দৃশ্যে শাকিব খান ও কলকাতার মিমি চক্রবর্তী
তুফানের হইচই
রায়হান রাফি পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমাটি মুক্তির আগে টিজার, গান দিয়ে শোরগোল ফেলে দেয় ইন্টারনেটে। দুই বাংলাতেই ছবির গান ‘দুষ্টু কোকিল’-জ্বরে আক্রান্ত হয়। পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তির পর অবশ্য ছবিটি আর তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। এমনকি ইউটিউবে ফাঁসও হয়ে যায় ছবিটি। এমনকি অনেক আশা নিয়ে দেশের বাইরে পাঠিয়েও তেমন সুবিধা করতে পারেননি নির্মাতারা। তবে তুফান ছিল চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত ও দর্শকনন্দিত সিনেমা।
যদিও শাকিব অভিনীত আরেকটি সিনেমা ‘রাজকুমার’ মুক্তি পায় পবিত্র ঈদুল ফিতরে। হিমেল আশরাফ পরিচালিত সিনেমাটি তার আগের সিনেমা ‘প্রিয়তমা’কে ছুঁতে পারেনি। নভেম্বরে মুক্তি পাওয়া শাকিবের আরেকটি সিনেমা অনন্য মামুনের ‘দরদ’ও তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। এই ঈদে মুক্তি পাওয়া গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’ দর্শক টেনেছিল, পেয়েছিল প্রশংসা।