এমন অবস্থায় কখনও পড়েননি লুইস দে লা ফুয়েন্তে। কেউ করেনওনি এমন আবদার। তবে স্পেনের কোচ সম্মান জানাচ্ছেন লামিনে ইয়ামালের রোজা রাখার সিদ্ধান্তে। বিষয়টিতে আপত্তিও নেই স্প্যানিশ কোচ ফুয়েন্তের।
জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম স্প্যানিশ ফুটবলার হিসেবে রোজা রেখে মাঠে নামতে যাচ্ছেন ইয়ামাল। কয়েকদিন আগে তার ক্লাব বার্সেলোনার হয়েও রোজা রেখে খেলেন। রোজা রাখার কারণে খেলতে কষ্ট হয়না বলেও জানিয়েছেন ইয়ামাল।
ডিএজেএনকে ইয়ামাল বলেছেন, ‘মনেই হবে না যে ক্ষুধার্ত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শরীরে পানিশূন্যতা না রাখা। বার্সায় আমি এই ব্যাপারে সতর্ক ছিলাম। ফজরের সময়ে ইলেক্ট্রোলাইট পান করি। এটা সারাদিন শরীরকে পানিতে পূর্ণ রাখবে। ইফতারের সময় আমি চিনি না খাওয়ার চেষ্টা করি। পরিবর্তে প্রচুর পানি খাই। সবকিছু তাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।’
নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে স্পেন। এই দুই ম্যাচ সামনে রেখে অনুশীলন ও ম্যাচে দুই জায়গাতেই রোজা রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইয়ামাল। তরুণ তুর্কির রোজা রাখার বিষয়টিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ।
বুধবার রাতে রটারডামে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইয়ামাল প্রসঙ্গে কোচ বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। সে তার ক্লাবে (বার্সেলোনা) যে নীতিমালা, নিয়মকানুন অনুসরণ করছে, এখানেই তাই করবে। চিকিৎসক দল ও পুষ্টিবিদ তাকে খাওয়াদাওয়া সম্পর্কে নির্দেশিকা দিয়েছে। যদিও আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। কিন্তু সব সময়ের মতো এগিয়ে যেতে হবে।’
স্পেন জাতীয় দলে খেলা প্রথম মুসলিম ফুটবলার নন ইয়ামাল। আদামা ত্রাওরে, আনসু ফাতি, মুনির এল হাদ্দাদিরাও ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তবে ত্রাওরে, মুনির বা ফাতি রমজান মাসে স্পেনের হয়ে এখনো কোনো ম্যাচ খেলেননি। এরআগে স্প্যানিশদের হয়ে রোজা রেখে কেউ খেলেনওনি।
এম এইচ/