রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভেঙে যায়। কোনো কোনো চিকিৎসক বলেন, সাহরিতে এক ডোজ ইনহেলার নেওয়ার পর সাধারণত ইফতার পর্যন্ত আর ইনহেলার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। তাই এভাবে ইনহেলার ব্যবহার করে রোজা রাখা যেতে পারে।
তবে কারো যদি বক্ষব্যাধি এমন মারাত্মক আকার ধারণ করে যে ইনহেলার নেওয়া ছাড়া ইফতার পর্যন্ত অপেক্ষা করা অসম্ভব, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এই সুযোগ রয়েছে যে তারা প্রয়োজনবোধে ইনহেলার ব্যবহার করবে এবং পরবর্তী সময় রোজা কাজা করে নেবে।
অনেককে বলতে শোনা যায়— ইনহেলার অতি প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়, তাই এতে রোজা ভঙ্গ হবে না। তাদের এ উক্তিটি সঠিক নয়। কেননা কেউ যদি ক্ষুধার তাড়নায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়ে অতি প্রয়োজনে কিছু খেয়ে ফেলে, তাহলে অতি প্রয়োজনে খাওয়ার কারণে ভেঙে যাবে। সুতরাং ইনহেলার অতি প্রয়োজনে ব্যবহার করলেও রোজা ভেঙে যাবে এবং পরে রোজার কাজা দিতে হবে। তবে, স্প্রে করার পর না গিলে যদি থুতু দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়, তাহলে রোজা ভাঙবে না।
আর কখনো সুস্থ হওয়ার আশা না থাকলে ফিদিয়া আদায় করবে। (সূত্র : ইবনে আবিদিন : ২/৩৯৫, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৫/৪৫৯, হেদায়া : ১/১২০, ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান, পৃষ্ঠা-৩২৪)
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
এ ইউ/