যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হোয়াইট হাউজের সাবেক করসপনডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারীর সঙ্গে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা। এতে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
মুশফিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি ও জাতিসংঘের কূটনৈতিক রিপোর্টার ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় রাষ্ট্রদূত মুশফিক গত ১৫ বছর প্রবাসে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে বিভিন্ন বাধা বিপত্তির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউজে সাংবাদিক হিসেবে যেন কাজ না করতে পারি সেজন্য মরিয়া ছিল পতিত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হাসিনার বড় বড় মন্ত্রীরা আমার পেশাগত কাজের প্রতিবন্ধকতার জাল বুনেছিল। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আমার বিরদ্ধে স্টেট ডিপার্টমেন্টে চিঠি লিখেছিল। তিনি শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে শতশত সাংবাদিককে নির্যাতনের দৃষ্টান্তগুলো তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে অবশ্যই একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচিতদের হাতে শাসনভার হস্তান্তর বর্তমান সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সাহায্য করতে হবে। দেশে ও বিদেশে আওয়ামী সরকারের নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরতে গিয়ে মুশফিক আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন এবং এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, গিয়াস আহমেদ, কামাল পাশা বাবুল, মোশাররফ হোসেন জসিম ভূঁইয়া, আব্দুস সবুর, মোশাররফ হোসেন সবুজ, মাকসুদুল এইচ চৌধুরী, মোতাহার হোসেন, নাসিম আহমেদ, বাচ্চু মিয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতিকুল হক আহাদ, মিজানুর রহমান, মূলধারার রাজনীতিক এটর্নি মঈন চৌধুরী, জাস্টিস সোমা সাঈদ, জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী, বদিউল আলম, সেলিম রেজা, মাযহারুল ইসলাম মিরন, তরিকুল ইসলাম মিঠু, আহমেদ সোহেল, সাইফুর রহমান খান হারুন, মৃধা মোহাম্মদ জসিম, মনির হোসেন, অনিক রাজ প্রমুখ।