Homeপ্রবাসের খবরযে গানে অর্ধশত মডেল, বাংলাদেশের টং দোকান থেকে হলিউডে শুটিং

যে গানে অর্ধশত মডেল, বাংলাদেশের টং দোকান থেকে হলিউডে শুটিং


বেশ কয়েক মাস ধরে মার্কিন মুলুকে অবস্থান করছেন সংগীতশিল্পী ও নির্মাতা তানভীর তারেক।  সেখানে সঞ্চালনাসহ নানা বিষয় নিয়ে ব্যস্ততার খবর আসছে। এরইমধ্যে দারুণ একটি কাজের খবর দিলেন তিনি। 

বিশ্বজুড়ে বাঙালিয়ানা-এই শ্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাভিত্তিক টিভি চ্যানেল এটিভি ইউএসএ-এর থিম সং এটি। তানভীর তারেকের সুর-সংগীত, ভিডিও পরিকল্পনা ও পরিচালনায় এটির কথা লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ। যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন ১৮ জন শিল্পী। আর গানটির ভিডিও শুটিং হয়েছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১টি দেশের নানামাত্রিক লোকেশনে!

 

অর্ধশত মডেলের অংশগ্রহণে নির্মিত এই থিম সংটির নির্মাতা তানভীর তারেক বলেন, ‘টানা ২ মাস ধরে আমরা এই থিম সংটির ভিডিও প্ল্যান করি। সেখানে বাংলাদেশের মফস্বলের টং দোকান থেকে শুরু করে হলিউড শহর লস অ্যাঞ্জেলেসেও শুটিং করেছি। মোট ১১টি দেশে এর চিত্রায়ন হয়। এই পরিশ্রমলব্ধ কাজটি এ কারণেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, যাতে আমাদের থিম সংয়ের মর্মার্থ সারাবিশ্বের বাঙালিয়ানা কালচারকে যে আমরা এক করার চিন্তা করেছি তা প্রকাশ পায়। এই আয়োজনের প্রত্যেক শিল্পী থেকে শুরু করে আমাদের প্রডাকশন ক্রু’র প্রতিও আমার অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’

গানটির মূল শিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আসিফ আকবর, কোনাল ছাড়াও নিউইয়র্ক স্টুডিওতে সহশিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন কামরুজ্জামান বকুল, শামীম সিদ্দিকী, চন্দ্রা রায়, নাজু আখন্দ, কৃষ্ণা তিথি, মরিয়ম মারিয়া, শাহ মাহবুব ও সৌরভ। ঢাকার ধ্রুব মিউজিক স্টেশন স্টুডিওতে কণ্ঠ দিয়েছেন ৮ তরুণ। তারা হলেন অংসুক রায়, সুকল্যান মুখার্জি, নয়ন দাস, রুদ্র দাস, তিথি মজুমদার, নন্দিতা সাহা, সোনালী সাহা ও সম্বিতা তালুকদার লতা।

 

গানটির সাউন্ড ডিজাইন, কম্পোজিশন ও মিক্স মাস্টারিং হয়েছে ঢাকা, নিউইয়র্ক ও লাস ভেগাসের স্টুডিওতে। কাজ করেছেন লাস ভেগাসের টিএফপি স্টুডিওর এলেক্স, নিউইয়র্কে তানভীর তারেক ও অভিজিৎ চক্রবর্তী জিতু এবং ঢাকায় মার্সেল।

ঢাকার ২০ জন নৃত্যশিল্পী এই থিম সংয়ে অংশ নিয়েছেন। নৃত্যশিল্পীদের কোরিওগ্রাফার হিসেবে ছিলেন এ মাহবুব হোসেন। বাংলাদেশের মফস্বল ছাড়াও ঢাকার লালবাগের কেল্লা, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ পুরনো ঢাকার একাধিক লোকেশনে টানা ৫ দিন শুটিং করা হয়। থিমসংয়ের ভিডিওতে দু’জন শিশুশিল্পীও কাজ করেছেন, তারা হলেন কথামনি ও শুদ্ধ।

 

এটিভি ইউএসএ’র প্রযোজনায় এমন ব্যয়বহুল ও ব্যাপ্তির মিউজিক থিমসং এর আগে কোনও যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক টেলিভিশন উপস্থাপন করেনি। এ প্রসঙ্গে এটিভি ইউএসএ’র কর্ণধার আকাশ রহমান বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই শুধু কমিউনিটি টেলিভিশনের ভেতরেই এটিকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনি। কারণ এখন কোনোকিছুই আর লোকাল নেই। সবাইকে গ্লোবাল বাজারেই ফাইট দিতে হয়। আর যেহেতু এটিভি ইউএসএ আমাদের নিজস্ব অ্যাপ ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে একইভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমরা এর আঙ্গিকটাও বিস্তৃত রাখছি। সেই অনুযায়ীই আমরা তানভীর ভাইয়ের নির্দেশনায় গত প্রায় ২ মাস ধরে পরিকল্পনা করে এই থিমসংটি তৈরি করার কথা ভাবি। সংশ্লিষ্ট সকল শিল্পী কলাকুশলীদের প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।’

তানভীর তারেক জানান, ১১ জানুয়ারি থিম সংটি উন্মুক্ত করা হবে এটিভি ইউএসএ’র দর্শকদের জন্য।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত