মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর উদ্ধার কাজে শতাধিক বিদেশি উদ্ধারকর্মী যোগ দিয়েছেন। শনিবার (২৯ মার্চ) এসব বিদেশি উদ্ধারকর্মীরা যোগদান করে। গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে যুদ্ধ বিগ্রহ ও সহিংসতার মধ্যে এবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ১৬০০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) দেশটিতে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যা গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। ভূমিকম্পের আঘাতের ফলে বিমানবন্দর, সেতু এবং রাস্তাঘাট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এমন এক সময় ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে যখন গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটিতে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
শনিবার মিয়ানমার জান্তা সরকার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে নিহত ১৬৪৪ জন নিহত হয়েছেন।
মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালাতে গতকাল শুক্রবার ভূমিকম্পের পর অনেকে হাত দিয়ে ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে আহতদের উদ্ধারে জোর চেষ্টা চালায়। কারণ সেখানে ভারী যন্ত্রপাতির ব্যাপক অভাব রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিও নেই।
এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশে থাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের আঘাতে বেশকিছু উঁচু ভবন ধসে পড়েছে। এতে রাজধানী ব্যাংককে ৯ জন নিহত হয়েছে।
ব্যাংককে ৩৩ তলা ভবন ধসে পড়ায় ৪৭ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। যাদের মধ্যে অনেক মিয়ানমারের শ্রমিকও রয়েছে। শনিবার ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে।
ভূমিকম্পের ফলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছেন জান্তা সরকার প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এছাড়া ভূমিকম্পের একদিন পর তিনি মান্দালাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সূত্র: রয়টার্স
এস এইচ/