মালয়েশিয়ার একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। তবে ঐ অধ্যাপক আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। দেশটির একাধিক গণমাধ্যমে এ খবর উঠে এসেছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়, অভিযুক্তের অভিযোগের পর বিষয়টি আদালতে গড়ালে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার মালাক্কার আয়র কেরোহ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানির সময় ৫৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত এম রেজাউল করিম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বিচার প্রক্রিয়া চান। ম্যাজিস্ট্রেট নূর আফিকাহ রাধিয়াহ জাইনুরিনের উপস্থিতিতে আদালতের দোভাষী যখন ইংরেজিতে অভিযোগ পড়ে শোনান, তখন তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
অভিযোগে বলা হয়, রেজাউল করিম ২০২৪ সালের ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, ভোররাতে মেলাকা তেঙ্গাহ এলাকার একটি হোটেলের কক্ষে ২৩ বছর বয়সী দুই শিক্ষার্থীর প্রতি যৌন উদ্দেশ্যে শারীরিক জবরদস্তি করেন। এ সময় তিনি ভুক্তভোগীদের ‘জেনিটাল পার্ট’ স্পর্শ ও চিমটি কেটে হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড, জরিমানা অথবা বেত্রাঘাতের (চাবুক মারার) শাস্তির বিধান রয়েছে।
মামলার প্রসিকিউটর, ইন্সপেক্টর নুরহায়াতি ইউসুফ আদালতে জামিন না দেওয়ার আবেদন করেন। তবে রেজাউল করিমের আইনজীবী মোহাম্মদ ফাইয়েজাদ রজালি তার মক্কেলের পরিবারের দায়িত্বের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জামিনের আবেদন জানান। তিনি বলেন, রেজাউল করিমের স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে, যাদের বয়স তিন থেকে ১০ বছরের মধ্যে।
বিচারক অবশেষে তাকে প্রতিটি অভিযোগের জন্য ৪ হাজার রিঙ্গিত (প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা) করে মোট ৮ হাজার রিঙ্গিত জামিনে মুক্তির অনুমতি দেন। তবে শর্ত হিসেবে, তাকে দুইজন স্থানীয় নাগরিকের জামিনদার রাখতে হবে এবং তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে।
আগামী ২৭ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে অভিযোগের নথিপত্র হস্তান্তর করা হবে।