ভারত বলেছে, বাংলাদেশের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজার রাখা। আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এমনভাবে উন্নীত করতে চাই যেন দুই দেশের জনগণের ভালো হয়।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল এ মন্তব্য করেন।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ভারত। এই সম্পর্ক স্বতন্ত্র, যা অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে না। আমরা গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পাশে থাকতে চাই। আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এমনভাবে উন্নীত করতে চাই যেন দুই দেশের জনগণের ভালো হয়।
সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ১৫ বছরের বেশি সময় পর পাকিস্তানে কোনো সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের কোনো যুদ্ধজাহাজ। এতে ভারতের প্রতিক্রিয়া কী? আর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যকার বৈঠকের ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আমরা প্রতিবারই বলে আসছি, ভারত পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর নজর রাখে, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশের ক্ষেত্রে। জাতীয় স্বার্থে আমরা এখনও তাই করে যাব। আর বিজিবি ও বিএসফের মধ্যে বৈঠকের আলাপ চলছে। সময় নির্ধারিত হলে আমরা বিস্তারিত জানাব।
রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত এ অঞ্চলের সব ঘটনার ওপর আমরা নিবিড়ভাবে খেয়াল রাখছি। আমরা সবকিছুই পর্যবেক্ষণ করি এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
আগামী মাসে নয়াদিল্লিতে বিএসএফ-বিজিবি মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে, এ মুখপাত্র বলেন, প্রস্তাবিত বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়েছে তবে এর তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
সীমান্ত বেড়া নিয়ে বিরোধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অপরাধ বন্ধ করতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া প্রয়োজন। সীমান্তে কাঁটাতারের বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে, সেই চুক্তি অনুসারেই কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
অপরাধ বন্ধ করতে সীমান্তে বেড়া দেওয়া দরকার মন্তব্য করে রণধীর বলেন, মানব পাচার, গরু পাচার এবং অন্য যে ধরনের অপরাধগুলি চলে, সেগুলি বন্ধ করার প্রয়োজন রয়েছে। সীমান্তকে অপরাধমুক্ত করার লক্ষ্যকে পূরণ করতে হবে। সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত যা কিছু চুক্তি হয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ তা ইতিবাচক ভাবে কার্যকর করবে। আমাদের মতে, সীমান্ত কাঁটাতার সংক্রান্ত চুক্তিকে কার্যকর করতে দু’দেশের একসঙ্গে গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করা উচিত।
এ ইউ/