গত ২৯ জানুয়ারি , বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন ও মানবাধিকার লংঘন নিয়ে, অলপার্টি পার্লামেন্টের প্রতিবেদন বাতিলের জন্য দেয়া এম পি রূপা হকের বক্তব্যের বিরুদ্ধে , ওয়েস্ট মিনিস্টারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
ইলিং সেন্ট্রাল এবং একটনের নির্বাচিত এম পি বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত মিস রূপা হক , গত ১৬ই জানুয়ারী পার্লামেন্টে পয়েন্ট অব অর্ডারে বাংলাদেশ সম্পর্কিত এপিপিজি’র প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী পরিকল্পনার অংশ।
তিনি পার্লামেন্টে প্রতিবেদনটির তথ্য সঠিক নয় বলে অভিযোগ তোলায় সেটি পর্যালোচনার জন্য স্থগিত করা হয়।
কিন্তু প্রতিবাদকারী সদস্যরা দাবী করেন , এপিপিজির প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যের অধিক সংখ্যক মানুষ আক্রমণের শিকার হয়েছেন।তারা আরও জানান , তারা দীর্ঘদিন ধরে রূপা হককে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন , তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ইসলামী শিবিরের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখছেন ,এবং নানা ইস্যুতে তিনি বংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল আওয়ামীলীগের বিরোধী শক্তিকে নানা ভাবে সহায়তা করে আসছেন ,যার সর্বশেষ উদাহরণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী যুদ্ধাপরাধী দলের নেতা ডা: শফিকুর রহমানের সাথে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি সভায় মিলিত হয়েছেন।
সদস্যরা দাবী করেন , ব্রিটেনের একজন সংসদ বাংলাদেশের ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে কোন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ছাড়া, শুধু ক্ষমতাসীন সরকারের মাধ্যমে নেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে পুরো প্রতিবেদনটি স্থগিত করার জন্য বক্তব্য রাখেন।
তারা আরও জানায় এপিপিজির প্রতিবেদন স্থগিত হওয়ার মধ্যমে তাদের কাঙ্ক্ষিত সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনার রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ইউকেতে বসবাসরত আয়োজক বাংলাদেশিরা, রূপা হকের এই পক্ষপাত মূলক বক্তব্য প্রত্যাহার ও তার পদত্যাগ দাবী করেন।
সভায় আয়োজক কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন , অমৃত দাশ, অভিষেক শেখর জিকু , রবিন দাশ, অসীমা দে, সুজয় স্বরুপ শ্যাম সুজিত দাশ, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম নিশিত, নীলকান্ত ।আয়োজদের পক্ষে অজিত দাস সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে জানান।