Homeপ্রবাসের খবরবাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানকেও বিদায় করে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড

বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানকেও বিদায় করে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড


প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে অনেকটাই এগিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যদি ভারতকে পাকিস্তান হারিয়ে দিতো, তাহলে হিসাব-নিকাশ জটিল হয়ে যেতো; কিন্তু ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারে সেমিতে ওঠার হিসাব সহজ হয়ে যায়।

বাকি ছিল আজ (সোমবার) রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের ফল। এই ম্যাচে বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারে তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্ভাবনাও কাগজে-কলমে টিকে থাকতো। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি।

রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ড বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ২৩৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলো। যা শেষ পর্যন্ত ২৩ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় নিউজ্যিলান্ড ক্রিকেটাররা।

বাংলাদেশকে হারানোর সঙ্গে স্বাগতিক পাকিস্তানেরও বিদায় নিশ্চিত করে দিলো কিউইরা। সে সঙ্গে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারত এবং নিউজিলান্ড সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললো। দুই দলই জয় পেয়েছে দুটি করে ম্যাচে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ বা পাকিস্তান একটি জয় পেলে কোনো লাভই হবে না।

রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাসকিন আহমেদ এবং নাহিদ রানার তোপের মুখে পড়েছিলো কিউইরা। প্রথম ওভারের একবারে শেষ বলে এসে দারুণ এক ইন-সুইঙ্গারে উইল ইয়াংকে বোল্ড করে দিলেন তাসকিন। দলীয় রানের খাতা তখনও ছিল শূন্য। অর্থ্যাৎ কোনো রান না করেই বোল্ড হয়ে গেলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইয়াং। দলের রানের খাতাও তখন ছিল শূন্য।

Rachin Ravindra

তাসকিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন নাহিদ রানায়। দারুণ ইনসুইংগার-আউটসুইংগার বোলিং করে তিনি দিশাহীন করে তোলেন কিউই ব্যাটারদের। পরের ওভারে এসে অবশ্য কিছুটা মার খেলেন তাসকিন। কনওয়ে পরপর দুটি বাউন্ডারি মারেন তাকে।

এরপরের ওভারে এসেই কেন উইলিয়ামসনের উইকেট তুলে নেন নাহিদ রানা। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলটি ছিল ১৪৫ কিলো গতির। আলতো বাউন্স। ব্যাট পেতে দিয়েছিলেন উইলিয়ামসন। ব্যাটের কিনারা স্পর্শ করে বলটি গিয়ে জমা পড়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে। ৫ রান করে বিদায় নেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।

এরপরই উইকেটে দাঁড়িয়ে যান আরেক ওপেনার ডেভিড কনওয়ে এবং অলরাউন্ডার রাচিন রাবিন্দ্রা। এ দু’জনের ৫৭ রানের জুটি কিউইদের ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা করে। ৪৫ বলে ৩০ রান করে মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে যান কনওয়ে।

এরপরই বিশাল জুটি গড়তে উইকেটে দাঁড়িয়ে যান রাচিন রাবিন্দ্রা এবং টম ল্যাথাম। দু’জন মিলে গড়ে তোলেন ১৬৯ রানের বিশাল জুটি। ৯৫ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে রাবিন্দ্রা। শেষ পর্যন্ত রিশাদ হোসেনের বলে তিনি আউট হন ১১২ রান করে। টম ল্যাথাম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন ৫৫ রান করে।

জয়ের জন্য পরের কাজ সারতে আর বেগ পেতে হয়নি গ্লেন ফিলিপস এবং মিচেল ব্রেসওয়েলকে। তাসকিন, নাহিদ রানা, মোস্তাফিজ এবং রিশাদ হোসেন নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ৪৫ রান করেন জাকের আলি। কিউই স্পিনার মিচেল ব্রেসওয়েল নেন ৪ উইকেট।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত