Homeপ্রবাসের খবরবাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করতে মালয়েশিয়া থেকে এলেন তরুণী

বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করতে মালয়েশিয়া থেকে এলেন তরুণী


দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রেম আর বাগদানের ৫ বছর পর অবশেষে মালয়েশিয়া থেকে আসা সেই তরুণীর সঙ্গে বাংলাদেশি যুবকের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ওই তরুণীর নাম সিটি হাসনা (৩২)।

মালয়েশিয়ার একটি শহরের বাসিন্দা মশিন জাকরির মেয়ে তিনি। তার প্রেমিকের নাম আনিছ রহমান। তিনি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকার জলিল রহমানের ছেলে।
রোববার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোর আদালত চত্বরে কাজির মাধ্যমে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এর আগে শনিবার (০৪ জানুয়ারি) সকালে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে আসেন মালয়েশিয়ার ওই তরুণী। সঙ্গে আসেন তার মা-ও। ওই দিন ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে হাসনা ও তার মাকেকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান আনিছ ও তার পরিবারের লোকজন।

প্রেমিক আনিছ রহমান বলেন, ১৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক আমাদের। আজ পারিবারিকভাবে আমাদের দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আল্লাহপাকের কাছে শুকরিয়া। আমরা দুজনে অনেক আনন্দিত, দীর্ঘ অনেক সময়ের পর আমাদের প্রেম সার্থক হয়েছে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। এসময় সকলের দোয়া চেয়েছেন সিটি হাসনা।

তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে অনেক আগে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম কিন্তু নানা জটিলতায় তা হয়নি। আর তার সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সর্ম্পকের জন্য এতো বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম, কোনো বিয়ে করিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য বার বার চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তার পরও ভিনদেশি মেয়েকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। শেষ পর্যন্ত পারিবারিক সিদ্ধান্তে দীর্ঘ ১৪ বছর পর আদালতের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আমার স্ত্রী আপাতত এখানেই থাকবে। পরবর্তীতে উভয় দেশেই যাতায়াত করা হবে।

এদিকে মালয়েশিয়ার তরুণীর সঙ্গে নাটোরের গুরুদাসপুরের ছেলের বিয়ের খবরে আদালত চত্বরে কৌতুহলী মানুষ দেখতে ভিড় জমায়। এসময় নব দম্পত্তি সকলের দোয়া প্রার্থনা করেন। অন্যদিকে আনিছের বাড়িতেই গত রাত থেকে ওই তরুণীকে দেখতে প্রতিবেশিসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় জমাতে দেখা গেছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় যান আনিছ রহমান। সেখানে সিটি হাসনার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ বছর ধরে চলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে দুজনের বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে ভিসা জটিলতায় কারণে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসতে পারেননি। কিন্তু প্রেমের টানে মাঝেমধ্যে আনিছ মালয়েশিয়ায় ঠিকই যেতেন। এভাবে তাদের মধ্যে সর্ম্পক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ভালোবাসার পরিণতি দিতে বাংলাদেশে আনিছের বাড়িতে চলে আসেন হাসনা।

এ ইউ/ 



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত