বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্লোভাকিয়া এবং যুক্তরাজ্যে আরও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন
দুদকের উপপরিচালক ও তদন্ত দলের প্রধান নাজমুল হোসেন আদালতের কাছে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীর, তার স্ত্রী সাবরিনা ও ভাই তাসভীরের নামে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করার আদেশ চান।
আনভীর স্লোভাকিয়ান কোম্পানি ‘ক্যালকুট্রনিক হোল্ডিং’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, যার মোট মূলধন ৫০০০ ইউরো, স্লোভাকিয়ান কোম্পানি ‘গ্যাগাগুগু’ এর মোট মূলধন ৫০০০ ইউরো, আমিরাতের বুর্জ খলিফার ১১ তলায় একটি দুই বেডরুমের ফ্ল্যাট আছে তার নামে, যার বাজার মূল্য ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
যুক্তরাজ্যের কোম্পানি ‘ওয়ার্ল্ডেরা কর্পোরেশন লিমিটেডের’ পরিচালক আনভীরের সেখানে মোট ১ লাখ শেয়ার আছে, যুক্তরাজ্যের আরেকটি হোল্ডিং কোম্পানির পরিচালক এএসডব্লিউএ’র পরিচালক তিনি যেখানে তার আছে মোট ৫ লাখ শেয়ার।
সাবরিনা সোবহান যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি ইউরোএশিয়া টেলিভিশন নেটওয়ার্ক লিমিটেডের একজন পরিচালক, যেখানে তার মোট ২৭ হাজার শেয়ার আছে। সাফওয়ান তাসভীর যুক্তরাজ্যের কোম্পানি গ্লোবাল মাল্টি ট্রেড লিমিটেডের একজন পরিচালক।
দুদক পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খান কমিশনের পক্ষে আবেদন উপস্থাপন করেন।
আদালতের আদেশের অনুলিপি স্লোভাকিয়ার স্টেট রেজিস্টার, যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিভাগ, আমিরাতের বাণিজ্য বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নাগরিকদের তথ্যের জন্য বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রের পাশাপাশি সরকারি গেজেটে আদেশ প্রকাশের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদেশ কার্যকরে দুদক সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন আদালত।
এর আগে, গত বছরের ২১ নভেম্বর একই আদালত বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম এবং পরিবারের আট সদস্য ও এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের নামে ছয়টি দেশে ও দুটি অফশোর ব্যবসার অধীনে থাকা বিদেশি সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দেয়।
এম এইচ/