Homeপ্রবাসের খবরপোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে রাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে রাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে কর্মকর্তা, সহায়ক কর্মচারী, সাধারণ কর্মচারী, পরিবহন কর্মচারী সমিতি আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে আইন অনুষদের স্টাফ রফিকুল ইসলাম বলেন, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য নিজেরাই কোটার সুবাদে চেয়ারে বসে আছে; তারাওতো নির্বাচিত নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা উড়ে আসি নাই। এখানে আমাদের বাপ ও দাদাদের ভূমি রয়েছে। আমরা আমাদের ৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা যেকোনো মূল্যে ফেরত চাই।

রাবি অফিসার সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, গত ১৫ বছরে হয়তো আমরা আন্দোলন সফল করতে পারিনি কিন্তু জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরাও সব সময় আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। যে আন্দোলনের কারণে আমরা ঘরছাড়া ছিলাম, জেল খাটলাম, এমনকি এখনো পর্যন্ত সেই আন্দোলনের আসামি হিসেবে আছি। কিন্তু সেই আন্দোলনের ফলাফলই আজকের এই বাংলাদেশ! আমাদের সন্তানেরা নূন্যতম যোগ্যতা নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিয়ে মাত্র ৭৮ জন ভর্তি হয়েছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা বলেছে, হাজার হাজার শিক্ষার্থী নাকি এই প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই ধরনের অযৌক্তিক কথা বার্তা বলে আমাদের প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে আটকে রাখা কতোটুকু যৌক্তিক তা আমার জানা নেই।

তিনি আরও বলেন, ২ তারিখ সারাদিন আমাদের এমনভাবে আটকে রেখেছে, যেখানে কেউ খেতে পারিনি, অনেকেই অসুস্থ হয়ে গেছে। এভাবে কষ্ট দিয়ে দাবি আদায় করাকে আমরা কখনোই সমর্থন করি না। এখন আমাদের প্রশাসনের কাছে দাবি, যতো দ্রুত সম্ভব আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

এ দিকে, পোষ্য কোটা যৌক্তিকভাবে পুনরায় বহালে কোনো সুযোগ নেই জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালে হাসান নকিব বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অস্থির পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা চেষ্টা করছি দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা করে ব্যাপারটি সমাধান করার। আমরা কোনোভাবে চাই না এই বিষয়গুলোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন ও গবেষণায় কোনো ক্ষতি হোক।

উল্লেখ্য, গত দুই মাস ধরে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে রাবি প্রশাসন ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সন্তানের কোটা বাতিল করে কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখে। তবে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত গত ২ জানুয়ারি পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব।

এ ইউ/



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত