Homeপ্রবাসের খবরতুরস্কে কারাবন্দী ইমামোগলু বিরোধীদলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত

তুরস্কে কারাবন্দী ইমামোগলু বিরোধীদলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত


তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড়ের মধ্যেই কারাবন্দী মেয়র একরেম ইমামোগলুকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী মনোনীত করেছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) দলের একজন মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএফপি।

এদিকে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রশাসন জানিয়েছে দেশজুড়ে ১ হাজার ১৩৩ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটাভুটির আয়োজন করে সিএইচপি। ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করায় দলীয় প্রাইমারিতে সাধারণ মানুষকেও ভোট দেওয়ার সুযোগ দেয় দলটি। এতে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন, যাদের ১ কোটি ৩২ লাখের বেশি দলটির সদস্য নন। অবশ্য এই ভোটাভুটিতে ইমামোগলুই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সিএইচপি দেশটির পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। ইমামোগলুকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহযোগিতার অভিযোগে বুধবার ইমামোগলুকে আটক করা হয়। তার মুক্তির দাবিতে বুধবার রাত থেকে রাজধানী আঙ্কারা, প্রধান শহর ইস্তাম্বুলসহ বিভিন্ন শহরে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। এরপর দুর্নীতি মামলায় গতকাল রোববার ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাগারে পাঠান ইস্তাম্বুলের একটি আদালত। ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে বিরোধী দল ‘রাজনৈতিক ক্যু’ আখ্যায়িত করেছে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে কারাগারে পাঠানোর পর ইমামোগলুকে মেয়রের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতটা ইস্তাম্বুলের উপকণ্ঠে সিলিভরি কারাগারে কেটেছে তার। এর মধ্যে নিজের আইনজীবীদের মাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, আমি একটি সাদা জামা পরেছি, যে জামায় তোমরা দাগ লাগাতে পারবে না। আমার একটি শক্তিশালী হাত রয়েছে, যা তোমরা মচকাতে পারবে না। আমি সামান্যতমও মাথা নত করব না। এই লড়াইয়ে আমি জয়ী হব।

এদিকে, ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার পঞ্চম রাতের মতো দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় গণহারে ধরপাকড়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বার্তা সংস্থা এএফপির একজন ফটোসাংবাদিকসহ ১০ সাংবাদিকও রয়েছেন।

মানবাধিকার সংগঠন এএলএসএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহের সময় ১০ সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, তুরস্কে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৮ সালে হওয়ার কথা রয়েছে।

এ ইউ/  



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত