গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তামিম ইকবালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার চাচা আকরাম খানের কাছে খবর পৌঁছেছিল, তামিম আর বেঁচে নেই। এই খবর শুনে আকরাম খান স্তব্ধ হয়ে যান। তবে ঘণ্টা দেড়েক পর তার কাছে স্বস্তির খবর পৌঁছায়, তামিম এখন সুস্থ হওয়ার পথে।
তামিমের এই সংকটাপন্ন অবস্থার বিষয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম।
তিনি জানান, বর্তমানে তামিম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও, আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আকরাম তার ভাতিজার জন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়া ও সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
২৪ মার্চ বিকেএসপির মাঠে ডিপিএল ম্যাচ খেলতে গিয়ে তামিম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অস্বস্তি বাড়লে তিনি নিজেই সাভারের কেপিজে হাসপাতালে যান। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে, হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হলে, তাকে ফের কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) এবং ডিসি শক দিয়ে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন। এরপর তার এনজিওগ্রাম করে ব্লক হয়ে যাওয়া ধমনিতে রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়।
তবে, এই সময় পরিবারের কাছে খবর পৌঁছেছিল যে তামিম বেঁচে নেই। আকরাম জানান, তিনি এই খবর শুনে পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যান, কিন্তু ঘণ্টা দেড়েক পর ডাক্তারদের কাছ থেকে নতুন খবর পেয়ে তিনি কিছুটা স্বস্তি পান। ডাক্তাররা তাকে জানান, তামিমের রিং বসানোর পর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে।
তামিম, চলতি ডিপিএলে দারুণ ছন্দে ছিলেন, তার অসুস্থতা আকরামের কাছে একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। আকরাম বলেন, “স্পোর্টসে যে মানুষটি এমন ছন্দে খেলছিল, তার সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা কল্পনাতেও আসেনি।”
সাভারের কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা এবং দেশ-বিদেশের ভক্তদের দোয়াতেই তামিম জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে এসেছেন বলে জানান আকরাম।
তামিম এখন সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েছেন এবং তার অবস্থাও আগের চেয়ে ভালো। তবে পরিবারের পরিকল্পনা রয়েছে তাকে বিদেশে নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর। আকরাম বলেন, “তামিম এখন পর্যবেক্ষণে আছে। ২-৩ দিন পর যদি তার অবস্থার উন্নতি হয়, তবে তাকে বাসায় নিয়ে আসতে পারব। তবে আরও নিশ্চিত হতে আমরা তাকে বিদেশে নিয়ে যাব।”
এস এইচ/