Homeপ্রবাসের খবরচিটাগংকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে বরিশাল

চিটাগংকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে বরিশাল


আগেরবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও কি সেই পথেই এগোচ্ছে ফরচুন বরিশাল? চিটাগং কিংসকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে সবার আগে ফাইনালে নাম লেখালো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। যে দল জিতবে, তারাই নাম লেখাবে ফাইনালে। পরাজিত দল অবশ্য আরেকটি সুযোগ পাবে। বরিশাল যেন সেই সমীকরণে যেতে চাইলো না।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চিটাগংকে ৯ উইকেটের ব্ড় ব্যবধানে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে উঠে গেলো তারা। বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চিটাগং খেলবে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৯ উইকেটে হারায় মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা।

লক্ষ্য ১৫০। রান তাড়ায় দেখেশুনে শুরু করেন তামিম ইকবাল আর তাওহিদ হৃদয়। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৪০ রান তোলে বরিশাল। তামিম-হৃদয়ের উদ্বোধনী জুটিতে উঠে ৫৫ রান। তবে বল খরচ হয়ে যায় ৫২টি।

খালেদ আহমেদকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন তামিম। বরিশাল অধিনায়ক ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে করেন ২৯।

এরপর ডেভিড মালানকে নিয়ে ম্যাচ জেতানো জুটি গড়েন হৃদয়। ৪৫ বলে ফিফটি করার পর হাত খোলেন তিনি। বাউন্ডারি হাঁকিয়েই ম্যাচ শেষ করেন হৃদয়। ৫৬ বলে ৮২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৯টি চার আর ২টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটার। মালান অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ৩৪ করে। ১৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বরিশাল।

এর আগে চিটাগং কিংস টপঅর্ডারের পাঁচ ব্যাটারের চারজনই আউট হন দশের নিচে। শামীম পাটোয়ারী সেখান থেকে হাল ধরলেন। বলতে গেলে একাই লড়াই করলেন এবং সেটি তার ঝড় তোলা স্টাইলেই। শামীমের ৪৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংসের পরও অবশ্য চিটাগং কিংস থেমে গেছে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানেই।

শেরে বাংলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে চিটাগং। খাজা নাফে ৪, গ্রাহাম ক্লার্ক ৬, মোহাম্মদ মিঠুন ১ আর হায়দার আলি ফিরে যান ৭ করেই। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে চিটাগং।

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন পারভেজ হোসেন ইমন আর শামীম পাটোয়ারী। পঞ্চম উইকেটে ৫০ বলে ৭৭ রান যোগ করেন তারা।

রিশাদ হোসেন নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফেরান ইমনকে। বল সমান ৩৬ রানের ইনিংসে ৩টি চার আর ২টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ওপেনার।

শামীম বরাবরের মতো শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন। ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। চার-ছক্কায় মাঠ গরম করে রাখেন একাই।

১৯তম ওভারে বল হাতে নিয়ে চারটি উইকেট নেন বরিশালের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলি। সবমিলিয়ে ২৪ রানে পূর্ণ করেন ফাইফার (৫ উইকেট)।

ওই ওভারেই মারকুটে শামীমকেও ফেরান আলি। ৪৭ বলে ৯ চার আর ৪ ছক্কায় শামীমের ইনিংসটি ছিল ৭৯ রানের।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত