বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হামলা ও গোলাগুলির অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ১০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জলিকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর ৯০/১২ মোল্লাপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই বিধান চন্দ্র রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শেখ রফিকুজ্জামানের ছেলে রাফসান জানী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে খুলনা আযমখান কমার্স কলেজের সমন্বয়ক ছিলেন। ২০২৪ সালের ২৭ জুলাই শিববাড়ি মোড় সৌন্দর্যবর্ধনকারী ‘দূর্জয়’ স্থাপনার ওপর ‘স্টেপ ডাউন হাসিনা’ লেখা ব্যানার লাগিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ায় ৩০ জুলাই পুলিশের মাধ্যমে জানীকে খুলনা সার্কিট হাউজে ডেকে নেয় আওয়ামী নেতৃবৃন্দ। ওইদিন রাতে তাকে আন্দোলন থেকে সরে আসার জন্য আওয়ামী নেতৃবৃন্দ হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন। হুমকির মুখে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্ররা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়।
৪ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে রাফসান জানীসহ অন্যান্য ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি মিছিল রূপসা ঘাট হয়ে আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল শিববাড়ি মোড়ে যাওয়ার উদ্দেশে ফাতেমা স্কুলের সামনে পৌঁছালে অস্ত্রধারী মো. রফিক ওরফে কসাই রফিক ও মো. সুমন ওরফে ভিপিসহ অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনের এক দল সন্ত্রাসী শর্টগান, বন্দুক, রমদা, হকিস্টিক, লোহার রড এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলের ওপর হামলা ও গুলি বর্ষণ করে। অস্ত্রধারীরা পরপর দুটি গুলি করলে রাফসান জানীর বুকের ডানপাশে ও ডানহাতে বিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে সহকর্মীরা চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা পুলিশের ভয়ে গোপন স্থানে নিয়ে চিকিৎসা করান। ২৯ আগস্ট সরকারের পতন হলে এ ঘটনায় জানীর পিতা শেখ রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এস এইচ/