Homeপ্রবাসের খবরউগান্ডায় গাড়ির ব্যবহৃত তেল থেকে আয় – প্রবাস খবর

উগান্ডায় গাড়ির ব্যবহৃত তেল থেকে আয় – প্রবাস খবর

[ad_1]

ব্যবহৃত তেল ঠিক জায়গায় না ফেললে পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে৷ উগান্ডার মতো আফ্রিকার দেশগুলোতে এই সমস্যা অনেক বেশি৷ উগান্ডার মোজেস জিঙ্গো ব্যবহৃত তেল রিসাইকেল করার পদ্ধতি বের করেছেন৷

এতে যেমন তার আয় হচ্ছে, তেমনি পরিবেশেরও লাভ হচ্ছে৷

গাড়ির মেকানিক হিসেবে আগে ব্যবহৃত তেল ফেলে দিতেন জিঙ্গো৷ করোনার সময় তার চাকরি চলে গিয়েছিল৷ এরপরই তিনি ভাগ্যের খোঁজ পান- কারণ ব্যবহৃত তেলের মূল্য বুঝতে পেরেছিলেন তিনি৷

জিঙ্গো বলেন, ‘‘আমরা এখন তেল রিসাইকেল করি৷ আমরা এখন জানি, তেল দূষিত হয়ে গেলেই তা মূল্যহীন হয়ে যায় না৷ আমরা এটা বিশুদ্ধ করে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করি৷ এভাবে রিসাইকেল চলতে থাকে৷”

ব্যবহৃত তেল রিসাইকেল করা কিছুটা ঝামেলার৷ তবে লাভ আছে৷ জিঙ্গো একটি ছোট ব্যবসা গড়ে তুলেছে৷ সেখানে তিনজন কাজ করেন৷

তারা নিয়মিত কাম্পালার ৫০টি গাড়ির ওয়ার্কশপে ঢুঁ মেরে ব্যবহৃত তেল সংগ্রহ করেন৷ তাদের একজন মাথিয়াস সেগুয়া বলেন, ‘‘ডিজেল ইঞ্জিন থেকে ব্যবহৃত তেল সংগ্রহ করার পর আমি সেটি সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করি৷ এভাবে আমি কিছু অর্থ আয় করি, যেটা দিয়ে আমি আমার অন্য প্রয়োজন মেটাই৷ এর মূল্য বোঝার আগে মেকানিকেরা ব্যবহৃত তেল ফেলে দিত৷ আমরা তেল, কুল্যান্ট আর হাইড্রোলিক ফ্লুইড ফেলে দিতে পারি না৷”

জিঙ্গো বর্তমানে মাসে প্রায় এক হাজার লিটার ব্যবহৃত তেল রিসাইকেল করেন৷ ময়লা আর পানি মূল দূষক৷

প্রথমে তিনি ব্যবহৃত তেল ফোটান, যেন পানি বাষ্প হয়ে যায়৷ এরপর সালফারের মতো বিভিন্ন কেমিক্যাল যোগ করেন৷ এভাবে ধুলো ও অন্যান্য ময়লা দূর করেন৷

জিঙ্গো বলেন, ব্যবহৃত তেল রিসাইকেল করার পর যা পাওয়া যায় তাকে বেজ তেল বলে৷ ‘‘একটা কারণে এটাকে বেজ তেল বলা হয়৷ এই বেজ তেল দিয়ে অনেক লুব্রিকেন্ট তৈরি করা হয়,” জানান তিনি৷

রিসাইকেল করে প্রায় ৮০ শতাংশ তেল উদ্ধার করেন জিঙ্গো৷ বেজ তেল দিয়ে তিনি গ্রিজ লুব্রিকেন্ট তৈরি করেন৷ কাম্পালার গাড়ির ওয়ার্কশপে এগুলো বিক্রি করেন তিনি৷

বাকি ২০ শতাংশের রং পিচের মতো কালো হয়৷ এটা বিটুমিন- অ্যাসফল্ট তৈরির জন্য আদর্শ৷ রাজধানীর বেশকিছু দোকানে এটা সরবরাহ করে থাকেন জিঙ্গো৷ ব্যবসা তার ও পরিবেশের জন্য ভালো৷

আফ্রিকার অনেক দেশে ব্যবহৃত তেল যেখানে সেখানে ফেলে দেয়া হয়৷ ফলে মাটি ও পানি দূষিত হয়৷

কাম্পালা থেকে ভিক্টোরিয়া লেকের দূরত্ব বেশি নয়৷ সেখান থেকে উগান্ডার বেশিরভাগ খাবার পানি আসে৷

ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও শহরের বর্জ্য সেখানকার একটি বড় সমস্যা৷ তেল দূষণের বিষয়টি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে৷

পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও ভালো নয়৷ সাম্প্রতিক সময়ে পানি পানের উপযোগী করার খরচ প্রায় দ্বিগুন হয়েছে৷ মাসে প্রায় ২.৩ বিলিয়ন উগান্ডান শিলিং বা প্রায় পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ইউরো৷

পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্পোরেশনের স্যামুয়েল অ্যাপেডেল বলেন, ‘‘কারখানার বর্জ্য, ব্যবহৃত তেল ঠিক জায়গায় না ফেলা ও শিল্পখাতের বর্জ্যের কারণে পানির উত্সগুলি ক্রমে দূষিত হচ্ছে৷ আমরা পানিশোধন করতে প্রায় ১.১ বিলিয়ন উগান্ডান শিলিং খরচ করব৷ বর্তমানে পানিশোধনের জন্য গড় রাসায়নিক খরচ প্রতি মাসে ২.৩ বিলিয়ন উগান্ডান শিলিং৷ এটা অনেক বেশি এবং আমরা এই খরচ যেন মানুষকে দিতে না হয় সেই চেষ্টা করি৷”

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ রক্ষা সংস্থার হিসাব বলছে, পাঁচ লিটার ব্যবহৃত তেল প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন লিটার বিশুদ্ধ পানি দূষিত করতে পারে৷

ফলে এক লিটার রিসাইকেল করার বিষয়টিও অনেক বড় ব্যাপার!

সূত্রঃ ডয়চে ভেলে

এ ইউ/ 

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত