Homeপ্রবাসের খবরইউরোপেজুড়ে পণ্য প্রত্যাহার কোকাকোলা, জানা গেলো কি কারণ

ইউরোপেজুড়ে পণ্য প্রত্যাহার কোকাকোলা, জানা গেলো কি কারণ


পানীয়তে রাসায়নিক যৌগ ক্লোরেটের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় ইউরোপের সব দেশ থেকে থেকে কোক-স্প্রাইট এবং নিজেদের তৈরি অন্যান্য পানীয় প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কোকাকোলা কোম্পানি। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে এএফপিকে জানিয়েছে কোম্পানির ইউরোপীয় ইউনিট।

ইতোমধ্যে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ থেকে কোক-স্প্রাইট ও কোম্পানির প্রস্তুতকৃত অন্যান্য পানীয়ের ক্যান ও কাঁচের বোতল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, বাকি দেশগুলো থেকেও এসব ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

কোম্পানির ইউরোপীয় ইউনিটের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত নভেম্বর থেকেই ইউরোপে পণ্য প্রত্যাহার করা শুরু করেছে কোকাকোলা। কত সংখ্যক বোতল ও ক্যানজাত কোক-স্প্রাইট এপর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে— প্রশ্নের উত্তরে ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এখনও হিসাব করিনি, তবে বিপুল পরিমাণ ক্যান ও বোতলজাত পানীয় ইতোমধ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।”

ক্লোরেট একপ্রকার জীবানুনাশক রাসায়নিক যৌগ এবং এর প্রধান উপাদন ক্লোরিন গ্যাস। পানি বিশুদ্ধকরণ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে এই যৌগটি ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হয়। ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অধিভুক্ত সংস্থা ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটি (ইফসা) ২০১৫ সালে একটি গবেষণা পরিচালনা করে। এতে দেখা যায়, খাবার কিংবা পানীয় প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মাত্রায় ক্লোরেট ব্যবাহরে কোনো সমস্যা নেই, তবে খাবার-পানীয়তে নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি ক্লোরেটের উপস্থিতি থাকলে তা দীর্ঘ মেয়াদে শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

কোকাকোলার বেলজিয়াম ইউনিটের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, “বেলজিয়ামের অধিকাংশ দোকানের স্টোর থেকে কোক-স্প্রাইটের কাঁচের বোতল এবং ক্যান সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বাকি দোকানগুলো থেকেও শিগগিরই সরানো হবে।

ফ্রান্স অবশ্য বিপরীত। কোকাকোলার ফ্রান্স শাখার এক কর্মকর্তা এএফপিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “এ অভিযোগ ওঠার পর আমরা কয়েকজন স্বীকৃত ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কোক-স্প্রাইট পরীক্ষা করিয়েছি। তারা জানিয়েছেন, পানীয়তে ক্লোরেটের উপস্থিতি রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা কোনো বয়সী মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তাই আমরা কোক-স্প্রাইট-ফিউজ টি প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ফ্রান্সের বিভিন্ন দোকানের স্টোরে এখনও আগের মতোই কোকাকোলা কোম্পানির পণ্য বিক্রি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

সূত্র : এএফপি

এ ইউ/ 



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত