পর্যটনের জন্য জনপ্রিয় দেশ মালদ্বীপে ইসরায়েলের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংসতার প্রতিবাদে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মালদ্বীপ সরকার।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দেশটির রাষ্ট্রপতি ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু অভিবাসন আইনের তৃতীয় সংশোধনী অনুমোদন করার পর মালদ্বীপ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
একইদিন সংসদে দ্রুত পাস হওয়া এই আইনটি স্পষ্টভাবে ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে, সেই সঙ্গে সরকার এই পদক্ষেপকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতা এবং গণহত্যার’ সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছে।
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক ফোরামে জবাবদিহিতার জন্য চাপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি ড. মুইজ্জু বারবার জাতিসংঘের প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক আইনি নীতি অনুসারে ১৯৬৭ পূর্ববর্তী সীমানার ভিত্তিতে সীমানা এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করে আসছেন। বছরের পর বছর ধরে মালদ্বীপ ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য ‘অবিচ্ছেদ্য অধিকার’ অর্জনে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার ‘অটল এবং নিঃশর্ত সমর্থন’ আরও জোরদার করেছে মালদ্বীপে ইসরায়েলি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ আইনটি পাসের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল মালদ্বীপ। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটি ভ্রমণ করেছিলেন ২ লাখ ১৪ হাজার বিদেশি পর্যটক। তাদের মধ্যে ৫৯ জন ছিলেন ইসরায়েলি। এর আগেও ইসরায়েলি পর্যটকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মালদ্বীপ। পরে ২০১০ সালে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকেও এগোয় দেশ দুটি।