চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাউন্ড-অব-১৬ তে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে অশোভন আচরণের অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ৪ ফুটবলার। তারা হলেন- ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপে, অ্যান্টোনিও রুডিগার ও দানি সেবাইয়োস। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (উয়েফা)।
রাউন্ড-অফ-১৬-এর প্রথম লেগে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। ফিরতি লেগে মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে অ্যাতলেতিকো ১-০ ব্বধানে এগিয়ে থেকে খেলা শেষ করে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২ সমতা।
ম্যাচের ফল বেরিয়ে আনতে মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে পেনাল্টি শুটআউট হয়। সেখানে স্বাগতিক অ্যাতলেতিকোকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায় রিয়াল। ওই সময়ই এমন অশোভন করা হয়েছে বলে রিয়াল তারকাদের বিপক্ষে অভিযোগ।
উয়েফা জানিয়েছে, অভিযোগ তদন্তে নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা পরিদর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই বিষয়ে আরও তথ্য যথাসময়ে জানানো হবে।’
রুডিগার, ভিনিসিয়ুস এবং এমবাপে অ্যাতলেতিকোর বিপক্ষে প্রথম একাদশে ছিলেন। তবে সেবাইয়োস ম্যাচ খেলেননি।
অ্যাতলেতিকোর বিপক্ষে রুডিগার জয়সূচক পেনাল্টি কিক নেন এবং সফলভাবে বল জালে জড়িয়ে সতীর্থদের নিয়ে প্রতিপক্ষের হোম গ্রাউন্ডে উদ্দীপ্তভাবে নাচতে শুরু করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, এমবাপে পেনাল্টি শুটআউটে জয় উদযাপনের সময় মাঠে নিজের ক্রোচ (দুই পায়ের মিলনস্থল) ধরে রেখেছিলেন।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত চারজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। সেক্ষেত্রে রিয়ালের হয়ে আগামী ৮ এপ্রিল কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের বিপক্ষে প্রথম লেগে খেলতে পারবেন না তারা।
একই ধরনের ঘটনায় গত বছর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে উয়েফার তদন্তের পর রিয়ালের জুড বেলিংহামকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ওই ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে সমতাসূচক গোল করে হাত ক্রোচের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন বেলিংহ্যাম। যাতে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ইংল্যান্ড।
উয়েফার শৃঙ্খলা বিষয়ক বিচারকরা বেলিংহামকে ‘আচরণগত মৌলিক নিয়ম লঙ্ঘন’ করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন এবং ৩০ হাজার ইউরো জরিমানাও করেন।