বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তারকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আইসিসি। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ খবর দিয়ে আইসিসি জানিয়েছে, সোহেলি আক্তার এই ৫ বছর ক্রিকেটীয় সব কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ থাকবেন। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শুরু হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশি ক্রিকেটার সোহেলি আক্তার আইসিসির দুর্নীতি-দমন আইনে পাঁচটি বিধি লঙ্ঘন করেছেন। আইসিসির শুনানিতে সোহেলি আক্তার সবগুলো অভিযোগই স্বীকার করে নিয়েছে।
২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের এক ক্রিকেটারকে মুঠোফোনে ফিক্সিংয়ের বার্তা পাঠান সোহেলি আক্তার। সেখানে বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখান তিনি। তবে সেই ক্রিকেটার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানিয়ে দেন।
সোহেলি বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ২০২২ সালে। জাতীয় দলের হয়ে ১৩টি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এ ডানহাতি অফ স্পিনার। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ১১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেই জানানো হয়, সোহেলি যেসব ধারা লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছেন, সেগুলো হলো- ধারা ২.১.১; ম্যাচ ফিক্সিং বা খেলার ফলাফল, অগ্রগতি, আচরণ বা অন্য যেকোনো দিক অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা বা এর সঙ্গে যুক্ত থাকা, যার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করাও অন্তর্ভুক্ত। ধারা ২.১.৪; অন্য কোনো ক্রিকেটারকে এসব দুর্নীতির কাজে উৎসাহিত করা, প্ররোচিত করা বা সহায়তা করা।
ধারা ২.৪.৪; আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে (এসিইউ) ফিক্সিংয়েরে প্রস্তাব পাওয়া বা আমন্ত্রণের তথ্য জানাতে ব্যর্থ হওয়া। ধারা ২.৪.৭; তদন্তে বাধা দেওয়া বা বিলম্ব ঘটানো, যার মধ্যে প্রাসঙ্গিক নথিপত্র গোপন করা, বিকৃত করা বা ধ্বংস করাও অন্তর্ভুক্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ চলাকালীন জাতীয় দলের বাইরে থাকা সোহেলি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের এক নারী ক্রিকেটারকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। জাতীয় দলের ওই ক্রিকেটার দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি টিম ম্যানেজমেন্টকে জানান। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘটনাটি আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে অবহিত করে। দুই বছর ধরে তদন্ত শেষে সোহেলিকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো আইসিসি।