ভিসা জালিয়াতি রোধ এবং প্রবাসীরা যাতে সঠিক ও বৈধ উপায়ে ভিসা পেতে পারেন সে জন্য কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এতে সফলতা মিলছে বলে জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
কুয়েতে আসতে আগ্রহী কর্মীদের সঠিক তথ্য জেনে আসার অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত।
ভিসা প্রক্রিয়ায় অবৈধ কার্যক্রম, বিভিন্ন ডকুমেন্ট জালিয়াতি এবং অবৈধ কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ভিসার অপব্যবহার করায় অনেক প্রবাসীর জীবন সংকটময় হয়ে উঠছে বলে জানা গেছে।
প্রবাসীরা জানান, কিছু অসাধু দালালের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হয়ে ২০ নম্বর খাদেম গৃহকর্মী ভিসা অথবা ১৮ নম্বর শোন ভিসা কিংবা ছোট কোম্পানির ভিসা নিয়ে কুয়েতে এসেও বিপদে পড়ছেন।
যথাযথ জ্ঞান না থাকায় অনেকেই নিজের অজান্তেই অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন। এতে কুয়েতে একদিকে যেমন বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তেমনি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রবাসীরা।
তাই একক ভিসা সত্যায়নের আবেদন শুধু কুয়েতি মালিক বা কফিল দ্বারা দূতাবাসে গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে অনেকটা সফলতাও পাচ্ছেন বলে সময় সংবাদকে জানান সৈয়দ তারেক হোসেন ।
তিনি কুয়েতে আসতে আগ্রহী কর্মীদের সঠিক তথ্য জেনে আসার অনুরোধ করেন।
সর্বশেষ (২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ) তথ্যমতে, কুয়েতে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮৩ জন কুয়েতি নাগরিক এবং ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৩ জন প্রবাসী। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৯ শতাংশ প্রবাসী বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ রক্ষার্থে দূতাবাসের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রবাসীরা বলেন, দূতাবাসের সত্যায়ন ব্যতীত বাংলাদেশ থেকে যারা ছাড়পত্র দেয় তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
তবে এ বিষয়ে প্রবাসীদের আরও সতর্ক এবং সচেতন হওয়া প্রয়োজন যাতে তারা সঠিক ও বৈধ পদ্ধতিতে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন–এমনটা মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।