পৃথিবীর ইতিহাসে রচিত হতে যাচ্ছে এক কলঙ্কিত, বিভীষিকাময় অধ্যায়। ফিলিস্তিনের মাটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর রক্তপিপাসু আগ্রাসন যেন ছিঁড়ে ফেলছে মানবতার শেষ আশ্রয়টুকুও। কোলের শিশু থেকে বৃদ্ধ, কেউই রেহাই পাচ্ছে না এই গণহত্যার বীভৎস থাবা থেকে। সদ্য ভূমিষ্ঠ এক শিশু চোখ খুলেই দেখছে ধ্বংসস্তূপ, শুনছে বোমার শব্দ, আর গায়ে মাখছে রক্ত আর ধুলোর ছাপ। পুরো দেশটি যেন পরিণত হয়েছে এক নীরব কবরস্থানে। এই অমানবিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে গোটা বিশ্ব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে প্রতিবাদের ঝড়। সেই ঝড়ে এবার গলা মেলালেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ফেসবুকে এবার ফিলিস্তিনিদের প্রতি গভীর আবেগ এবং ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ অভিনেতা।
সিয়াম তার শেয়ার করা পোস্টে লিখেছেন, আমি যখন এই পোস্ট লিখছি ততক্ষণে গাজার অস্তিত্ব কী মুছে গেছে? আমরা কি পারলাম না এই শহরটাকে, এই দেশটাকে বাঁচাতে? ফিলিস্তিনের এই ধ্বংসাবশেষের দায় কি আমরা কেউ এড়াতে পারব? ফিলিস্তিনের জন্য আমার মনের কান্না কখনো থামাতে পারিনি।
তিনি আরও লিখেছেন, যখন ‘জংলির গল্প লেখা হচ্ছিল তখনো পাখির জায়গায় আমি বারবার ফিলিস্তিনি শিশুদেরই কল্পনা করতাম। আমরা কি শিশুদের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়ে যেতে পারব না? যখন যুদ্ধবিরতি চলছিল তখনো আমি শান্তি পাচ্ছিলাম না।
এরপর বিশ্বনেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে সিয়াম আরও লিখেছেন, শুধু মনে হতো, এই বিরতি কতক্ষণের? কতক্ষণ এই মানুষগুলো বাঁচবে আসলে? এই যে ঈদের পরপরই তাদের ওপর নরক নেমে এলো, তার দায় কি এই পৃথিবী নেবে না? এই ওয়ার্ল্ড লিডারস, ইসলামিক স্কলারস, নোবেল লরিয়েটস, সাধারণ মানুষ, আমরা কেউ কি এড়াতে পারব এর দায়? আল্লাহ, তুমি জান্নাতের দরজা খুলে দাও। এই পৃথিবী আর গাজাবাসীর জন্য নয়। আমরা পারিনি, আমরা পারলাম না।