সকালে সাইনবোর্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায় যাত্রীর জন্য হাঁকডাক করছেন পরিবহনশ্রমিকেরা। কোনো যাত্রীর দেখা পেলেই একসঙ্গে একাধিক শ্রমিক যাত্রীদের ঘিরে ধরছেন। যাত্রীর গন্তব্যস্থল জানতে চাইছেন। তারপর ভালো আসন (সিট) দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে যাত্রীদের নিজেদের পরিবহন কাউন্টারের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় কাউন্টারগুলোর কাছে সোহাগ, হানিফ, তিশা, নীলাচল, আল বারাকা, যাতায়াতসহ বেশ কিছু পরিবহনের বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
সেখানেই কথা হয় কুমিল্লার মুরাদনগরের যাত্রী মিহির ঘোষের সঙ্গে। ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় নিরপত্তারক্ষীর কাজ করেন মিহির। আগেভাগেই ঈদের ছুটি পেয়েছেন। ঈদের দিন সকালে আবার কাজে যোগ দেবেন তিনি। তখন বাড়ি যাবেন তাঁর অন্য সহকর্মীরা।
মিহির ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, তিশা পরিবহনে ২৭০ টাকায় টিকিট কেটেছেন। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যা ২০ টাকা বেশি। প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসের দেখা পাননি। তবে ঈদের সময় হিসেবে বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন মিহির।
এ সময় নীলাচল, আল বারাকাসহ সাইনবোর্ডর অন্যান্য পরিবহন কাউন্টারগুলোতেও ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি ভাড়া ও ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি করে বাস ছাড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে নীলাচল ও আল বারাকা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি ঈদেই পরিবহন মালিকেরা সামান্য বাড়তি ভাড়া আদায় করেন। এটা অনেকটা ঈদ বোনাসের মতো। আজ সকালে যাত্রীর তেমন চাপ ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুপুরের পর অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হবে। তখন যাত্রীর বড় চাপ পড়তে পারে।