বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যান ২০২০ সালের ১৪ জুন। তার মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা ভারতে। প্রায় পাঁচ বছর কেটে গেছে অথচ ধোঁয়াশা যেন কাটছিলই না। অবশেষে ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ইতি টানলো অভিনেতার মৃত্যু রহস্যের।
শনিবার (২২ মার্চ) মুম্বাই আদালতকে সিবিআইর পক্ষ থেকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে, মামলাটি আত্মহত্যা বলেই জানানো হয়েছিল। চূড়ান্ত রিপোর্টে সেটাই নিশ্চিত করলো ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। রিপোর্টে জানানো হয়, আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেতা। তদন্তে খুন বা মাদক সংক্রান্ত কোনও দিক উঠে আসেনি।
বলা দরকার, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে মুম্বাইয়ে তার অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সে সময় সুশান্তের পরিবার বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে মানতে রাজি হননি। তারা দাবি করেছিলেন, এটি নিছক আত্মহত্যা নয়, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বা আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করা হয়েছে।
অভিনেতার পরিবারের আঙুল ওঠে রিয়া চক্রবর্তীর দিকে। এমনকি রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি অভিনেতার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তবে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিভিন্ন স্থান থেকে ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রযুক্তিগত প্রমাণ, একাধিক চিকিৎসা মতামত এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আমরা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে কোনও অনিয়ম খুঁজে পাইনি। তাই, মুম্বাইয়ের একটি বিশেষ আদালতে দুটি সম্পর্কিত মামলায় একটি ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে।’
প্রথম মামলায় সুশান্তের আব্বা কে কে সিং বিহার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে রিয়া চক্রবর্তী এবং তার পরিবার তার ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছিলেন এবং তার ১৫ কোটি টাকার তহবিল আত্মসাৎ করেছিলেন।
দ্বিতীয় মামলাটি করেন প্রয়াত অভিনেতার বোন প্রিয়াঙ্কা সিং। তিনি দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের একজন ডাক্তারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে পরামর্শ ছাড়াই মানসিক ওষুধ দেয়ার অভিযোগে এবং জাল প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করার অভিযোগে দায়ের করেছিলেন।
কিন্তু সেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোনও মামলায় ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস